সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

2013 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

পাকিস্তান ভক্ত বন্ধুদের বলছি.....

পাকিস্তান ভক্ত বন্ধুদের বলছি, আপনারা নিশ্চয় খুশি হবেন যখন পাকিস্তানিরা আবার আপনাদের আমন্ত্রনে আসবেন, বসবেন এবং খোশ গল্পে মেতে উঠবেন, এবং আবার সেই ৫২ ও ৭১ এর পুনরাবৃত্তি ঘটবে নিশ্চয় তখন আপনারা আপনাদের প্রিয় নেতা কাদের মোল্লা মত বিভক্ত পাকিস্তান কে এক করার কাজে নেমে পড়বেন তাইনা? যখন পাকিস্তানের জঙ্গি সংঘটন বাংলাদেশ দূতাবাস হামলার হুমকি দেয়, তখনও কি আপনার মধ্য দেশ প্রেম কাজ করে না? যখন পাকিস্তানের পার্লামেন্টে বাংলাদেশ কে তিরস্কার করে বক্তৃতা দেওয়া হয় তখনও কি আপনাদের মনে হয় না এই পাকিস্তান কখনো আমাদের বন্ধু হতে পারেনা। আরে ভাই যে দেশে মিনিটে মিনিটে বোমায় মানুষ মরে সেই দেশ আইসে আরেক দেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাইতে, এরেই বলে হ্যিপক্রেট জাতি। 20-12-13

কচি প্রানে বিষ ঢেলে দেয় নিন্দিতে বাংলায়

শকুনের রক্তচক্ষু পড়েছিল বাংলায় তাজা প্রানের বিনাশ হল সেই অশুভ ছায়ায়। শকুনের প্রেতাত্মারা আজো আছে আশায় কচি প্রানে বিষ ঢেলে দেয় নিন্দিতে বাংলায়।  ১২-১২-২০১৩

পলটি মারে Tumble কিং

পলটি মারে Tumble কিং বুবুজিরা নিদ্রাহীন আমজনতা সংজ্ঞা খুঁজে সকাল দুপুর রাত্রি দিন। এইটা করলেন তিনি কি? চলমান দাবানলে তিনি কেন ঢেলে দিলেন ঘি? বঙ্গভবন স্বপ্নে তার কড়া নাড়ে অহর্নিশ বুবুজিদের আঁচল ধরে কভু হয় যদি দেখা কার্নিশ। ০৫-১২-২০১৩

দেশ কি নিয়ে বাঁচে?

শিউলি ফোঁটা ভোঁরে শুনি বোমার চিৎকার কাকের আহাজারি আর ছুটোছুটি হল্লায়। আর্তনাদে উঠবে জেগে ঘুমন্ত শহর আর বারুদের ধোঁয়ায় বিষাক্ত হবে ভোরের শিশির। দিনমজুরের দিনাতিপাত কেমন ওরা কি বুঝে? সবাই থাকে যদি নিজেকে নিয়ে দেশ কি নিয়ে বাঁচে?  তারিখঃ ২৭-১০-২০১৩ 

এসো করি সুন্দরের চাষ

সুখ পায়রা উড়াল দিল মনের উঠান থেকে, শান্তির দূর্বাদল পিষ্ট হয় কুটিলতার ছলে। সবুজের অরণ্য কম্পিত হয় ছলনার মায়াজালে। রিক্ত হাতে বৃথা আস্ফালন অন্তরে করে বাস, যান্ত্রিকতা আর মলিনতা ঝেড়ে এসো করি সুন্দরের চাষ।। তারিখঃ ২৫-১০-২০১৩

চির সবুজ

জীবনের যত রঙ, আছে যত হা-পিত্তেশ, ওড়াও রঙ নীল আকাশে, মিটাও হতাশা ঝোড় বাতাসে। তুলে ধরে রঙ্গিন অধ্যায় রাঙ্গিয়ে দাও ধরণীকে। মুছে ফেল ফ্যাঁকাসে স্মৃতি, মুক্ত কর আপনাকে। জীর্ণতাকে লাঠিপেটা কর আর গোঁড়ামিকে কর ঘরছাড়া। পূজা কর তুমি সত্য ও ন্যায়ের, জিকির তুলো আদর্শের। আগামী তোমাকে জানাবে স্যালুট, চির সবুজ হবে দিন তোমার। তারিখঃ২৩-০৫-২০০৭

শুদ্ধ হাওয়া

সৈকতের লোনা হাওয়ায় হারিয়েছি দুজন চাওয়া-পাওয়ায়। দিগন্ত জুড়ে তোমায় অ্যাঁকে রঙ্গিন হবো আমি, মাতব দুজন উন্মাদনায় নিঃস্ব করে সবই। বাতাসে মোরা ভাসিয়ে দিব উন্মাদ ভালবাসার তরী সৌরভ যদি এতোটুকু ছড়ায়, ছড়াক তাতে গর্ভিত হবে ধরণী। বর্জিত হবে মেকি ও কৃত্রিম যান্ত্রিকতা, মাতবে আগামি নিয়ে প্রাকৃতিক শুদ্ধতা। তারিখঃ ১৩-০৫-২০০৬

ঠেকের রাজত্বে অসহায় বীর-বল

সব ঠেক বাজের দল। ঠেকের রাজত্বে অসহায় বীর-বল ১। গরু আনতে পুলিশ মামা দেয় ঠেক। ২। বাসে, লঞ্চে, ট্রেনে বাড়ি যাবেন সেখানেও ঠেক দিয়া বাড়তি ভাড়া আদায়। ৩। আর রাজনীতির সু-পুত্ররা তো আছেই ১৪-১০-২০১৩

কাঙ্গাল দেশের বাঙ্গাল

কাঙ্গাল দেশের বাঙ্গাল মোরা সব কিছুতেই স্বার্থ চাই, মায়ের ভালবাসায়ও স্বার্থ খুঁজি, এমন দেশের জুড়ি নাই।। ০৪-১০-২০১৩

প্রকৃতি পরিবার প্রনয়।

প্রকৃতি আমায় আলিঙ্গন কর মুছে যাক জড়তা, স্নেহের পরশ বুলিয়ে দাও পিতৃ স্নেহের বিশালতা। প্রকৃতি আমায় আলিঙ্গন কর ছুঁয়ে যাক শুভ্রতা, মায়ায় ভরা আঁচল জুড়ে মায়েরই মমতা। প্রকৃতি আমায় আলিঙ্গন কর উবে যাক মলিনতা, ভগ্নী তোমার লালিত্যে ধরণি পেল পুষ্পের সজীবতা। প্রকৃতি আমায় আলিঙ্গন কর লেগে থাক মাদকতা, ভাতৃ হৃদে লুকায়িত প্রেম শুদ্ধ পেলবতা। প্রকৃতি আমায় আলিঙ্গন কর ভেসে যাক কুটিলতা, প্রেম সুন্দর নারী রুপে করি তাহারই আরাধনা। তারিখঃ ১৮-১১-২০০৭

রক্তচোষা

এনার্জি এশিয়া, মাথার উপর বসিয়া, করিতেছে গ্রাস তেল, কয়লা ও গ্যাস। করবি তোরা হায়! হায়! দেখবি যখন রক্তচোষারা নিয়েছে চুষে তোর রক্ত। হয়ে পড়বি অথর্ব তুই, পারবি না নিতে শ্বাস। তারাই তখন বগল বাজিয়ে গর্ব করে মিটাবে তাদের মনের আশ। নামটি তোদের তৃতীয় বিশ্ব, তাইতো হয়েছে দোষ। মিনিটে মিনিটে খবরদারী, মাথা তুললেই নাখোশ। রক্তে তোদের হুজুর! হুজুর! কাঁসি দিতেও খাওয়াস খেজুর। কিসের তরে রইলি বেঁচে, অস্তিত্ব তোর কিসে? এভাবে যদি যায় চলে দিন, বড় বড় কথা বাদ দিন। হুকুম বাজদের পায়ে পড়ে অন্য কোন কাজ নিন। তারিখঃ ১৭-১০-২০০৮

বাংলাদেশ (অষ্টম গান)

যে দেশের ধূলিকণা আমার রক্তে যে দেশের আলো-বাতাস আমার বক্ষে সে দেশ আমার প্রিয় বাংলাদেশ। এখানে শরৎ খেলে কাশ ফুলে ফুলে বসন্তও আসে যায় কৌকিলের ডাক শুনে। কুয়াশার চাঁদরে মোড়ানো যে দেশ সে দেশ আমার প্রিয় বাংলাদেশ। এখানে রাখাল হারায় বাঁশির সুরে সুরে মধু মাস হাসে খেলে অম্রমুকুলে। পল্লীবধূ কলসি কাঁখে যায় যে দেশে সে দেশ আমারা প্রিয় বাংলাদেশ। বৃষ্টি নাচে নূপুর পায়ে ঘন বরষায় হেমন্তটাও পাতায় পাতায় মিষ্টি রোদ ছড়ায়। চোখ জুড়ানো সবুজ দিগন্তে মন মাতানো যে দেশ সে দেশ আমার প্রিয় বাংলাদেশ। তারিখঃ ১৬-০৭-২০০৯

আর্তনাদে সুন্দরী মায়া

অসহায় আর্তনাদ এ বুক জুড়ে, দিগন্তে আস্ফালন মরীচিকার কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় সবুজের অরন্য হুঙ্কারে যান্ত্রিকতার। উজাড় হবে সুন্দরী মায়া আরও হবে চিত্রা যন্ত্রের কোলাহলে সাঙ্গ হবে নৈসর্গিক গীতিময়তা। রয়েল বেঙ্গল টাইগার তুমি ইতিহাস হবে জেনে রেখো একদিন হয়তো বলব আপন নাতিপুতিকে বিষাদে সংজ্ঞাহীন।  তারিখঃ ২৭-০৯-২০১৩ ©বারিদ কান্তার

"পিয়াজের ঝাঁজ"

পিয়াজের ঝাঁজ বুঝেছি আজ। দাম নয় মন্দ, স্বাদে মোরা অন্ধ। কেজি শ ছাড়ালো, চাহিদাও বাড়িলো। টি সি বি র কর্ম বেহুদা তর্ক। ২৩-০৯-২০১৩     ©বারিদ কান্তার

আমাদের শঙ্কার জায়গাটায় আপনারা দাড়িয়ে একটু চিন্তা করুন।

দেশের রাজনীতিবিদদের কাছে একটা অনুরোধ আপনারা আলাপ আলোচনা করে যত সমস্যা আছে তা সমাধান করুন দয়া করে। আপনারা আমাদেরকে আর অনিশ্চয়তার দিকে নিক্ষেপ করবেন না। আমরা প্রতি ৫ বছর অন্তর অন্তর কেন এই অনিশ্চয়তার মুখে পরবো? স্বাধীনতার ৪০ বছর পরও কেন আমাদের একটি অনিশ্চয়তায় রাতের ঘুম হারাম হবে? একটু করে শুধু সাধারন জনগনের কথা চিন্তা করুন। আমারা চিন্তিত নির্বাচনকালীন, নির্বাচন পূর্ব ও পরে কি হবে তা অনুমান করে। আমাদের এই শঙ্কার জায়গাটায় আপনারা দাড়িয়ে চিন্তা করুন......প্লিজ......

বৃষ্টিময় রজনী

বৃষ্টিময় রজনী তুমি এলে সজনী নিয়ে এলে শুভ্রতা কল্যানে ধরণি চলে গেলে অসময়ে মনো ব্যাথা বুঝনি। বৃষ্টিময় রজনী। তারিখঃ ০৪-০৯-২০১৩

মানবিক-২

কতো শিশু আজ পথ হারিয়ে করে আহাজারি, কতো অসহায় ছন্নছাড়া আজ, হাতে নেই কানাকড়ি। দিন চলে তার অনাহারে আর রাত কাটে পথে ঘুরে। কখনোবা সে বিষে নীল হয় নেশারই কামড়ে। ছেঁড়া জামায় কালো শরীর যেন নর কঙ্কাল। স্বপ্ন দেখার সাধ্য নেই বল কবে হবে রঙ্গিন সকাল? হাড্ডিসার দেহ তার ঘুরে মানুষের দাঁরে দাঁরে, আমরাও যদি মুখ ফিরিয়ে নিই, তারা তবে যাবে কার তরে? তাই হয়েছি আমারা একাত্মা আর রেখেছি হাতে হাত দেখিনা আমারা কতটুকু পারি রাঙ্গাতে নতুন প্রভাত। তারিখঃ ০১-০৯-২০১৩ ১০.১০

"বৃষ্টি বন্দনা"

বিন্দু ফোটা লুটোপুটি খেলে মাতাল মধ্যদুপুরে স্নিগ্ধ বাতাস দোলা দেয় উতাল মনের নূপুরে। ঘুমন্ত জলের চোখের পাতা নাড়া দিয়ে যায় কয়েকটি দুষ্ট ফোটা তারপর আলসেমি আর আড়মোড়া ভেঙ্গে চলে স্থির জলের ছান্দিক নান্দনিকতা। শ্যামাকাশের মায়াবি দৃষ্টি যেন সম্মোহনের ঘোর অগ্রাহ্য করা যে অসাধ্য আজ, তাই অপেক্ষায় থাকি রোজ।   তারিখঃ ২০-০৮-২০১৩

Love For Bangladesh

We like our country, very much! Evergreen country, we like her very much! We feel our country, very much! Open air, blue sky, we feel her very much! We love our country, very much! Bloody independence, we love her very much! Date : 06-02-2006 

খেলার ছলে

রাত কাটে নিঃসঙ্গতায় দিন কাটে কোলাহলে জিবনটা যে ফুরিয়ে যাবে মিথ্যে খেলার ছলে। আসবে কতো ঝড় তুফান নির্ঘুম রাত অফুরান জীবন হবে দুঃখ নদী ভাসিয়ে চোখের জলে। সুখটা তোমার ক্ষণিকের তরে বিজলী চমক যেন সুখটা শুধু মরিচিকা মোর প্রান কেঁদে কেঁদে তাই বলে। হারিয়ে যাবে অন্ধকারে এপার ওপার সবই লাভ কি হবে সাজিয়ে জীবন মিথ্যে খেলার ছলে। তারিখঃ ১৪-১২-২০০৫

অভয়

শক্তিতে মোরা দুর্বল আজি বুদ্ধিতে মোরা শ্রেষ্ঠ। মানবতারই জয় হবে আজ হোক না যত কষ্ট। দুর্বোধ্য আর দুর্গমতাকে করতে পারি জয়। বাহুওয়ালার হুঙ্কারে আজ নেইকো মোদের ভয়। সৃষ্টির জন্যে জন্ম তোদের ধ্বংস কেন করিস। এই সৃষ্টিই তকে রাখবে বাচিয়ে তুই কি বলতে পারিস। নিক্ষিপ্ত হবে আস্থাকুরে সব ধ্বংসকারীর দল। ধ্বংস থামাবার সময় আছে এখনই তাদের বল। তারিখঃ ১৯-১০-২০০৫

ছন্দ

খণ্ড মেঘের চলন দেখি চলন দেখি তোমারও, পাখির মত উড়ছ যেন দোলন যে দাও আমারেও। ধানের শীষের দোলন দেখি দোলন দেখি গানের সুরেও, তোমার মুখের মিষ্টি বলন মুগ্ধ করে আমারেও। জ্যোৎস্নায় চাঁদের হাসন দেখি হাসন দেখি ফুল পাপড়িও, কচি মুখের হাসন দেখে স্বপ্নে ভাসায় আমারেও। তারিখঃ ২৩-০৯-২০০৫  

শ্যামলা মেয়ে

শ্যামলা মেয়ের কৃষ্ণ কেশ হাওয়ার দলায় উড়ছে বেশ। শ্যামলা মেয়ের কৃষ্ণ গড়ন যৌবন ছল ছল, হাঁসিটা তার অন্যরকম আমার লাগে ভালো। চোখ দুটো তার টানা টানা, ধূসর মনিতে যায় যে চেনা। বাদলা দিনের মেঘের মত রাগাই তাকে ইচ্ছে মত, রাগ্লে তাকে মানায় যত, আর মানায় না এমনি ততো। শ্যামলা মেয়ের ছন্দে চলন, মিষ্টি যে তার মুখের বলন। বৃষ্টি ভেজা এক দুপুরে, শ্যামলা মেয়ে যায় পুকুরে, পুকুর পাড়ে নূপুর পায়ে, দোলায় যে পা শ্যামলা মেয়ে।। তারিখঃ ১০-০৮-২০০৫

জীবন

খণ্ড মেঘ, খণ্ড জরা, খণ্ড রৌদ্র, খণ্ড আশা, তারই মাঝে নাও খুজে ভাই জীবনের সব ভালবাসা। খণ্ড ব্যাথা, খণ্ড দুখ, খণ্ড শান্তি, খণ্ড সু্‌ এরই জন্যে বুঝিবের ভাই জীবনটা যে কতো অদ্ভুত। খণ্ড আভাশ, খণ্ড চাওয়া খণ্ড, খণ্ড পাওয়া না পাওয়া, এরই মাঝে নাও খুজে ভাই জীবনের সব বাস্তবতা। সময়ঃ ০৩-০৬-২০০৫

বাঁকাটটা

আমি কার কে আমার, কিছুই তো জানি না হায়। বাধন ভরা মনটা আমার, বাঁকাটটার মত উড়তে চায়। ইট, বালি আর দালান কোঠা, কিছুই আমার ভাল্লাগেনা। শিশির সিক্ত ঘাসের পরে মন ছুটে যায় বারে বারে... সময়ঃ ২০০৫

সে

হাঁটছি আমি রাস্তা দিয়ে চোখের পলক ফেলতে গিয়ে হঠাৎ দেখি তাকে, দাড় করিয়ে বলে, চিননি আমাকে? আমি হলাম "সে"............। আমি বলি চিনেছি তোমায়। তবে বলত আমি কে? মুচকি হেঁসে, তুমি হলে সকাল বেলার কাক, তুমি হলে রাত দুপুরে শেয়ালের ডাক। শুনে কথা অমনিতে মেয়ে রাগে যে গাল ফুলায়। আমি বলি রাগ করোনা, ভুল হয়েছে আমার, তোমার সাথে দুষ্টামি করা সাঝেনি আমার। সে বলে, না না তা কেন ভুল হয়েছে আমার। রাগটা ঝেড়ে আবার তুমি মাফ করে দাও আমায়। সময়ঃ ২০০৫

তোমায় করে স্মরণ

ছুটে  চলেছি পিচঢালা রাস্তায় রৌদ্র তপ্ত দুপুরে, ফেলে এসেছি হাসি, তামাশা, সুর, আনন্দ কল্লোল। ভেঙ্গে পড়েছে এমন বিষণ্ণ সারাক্ষণ তোমায় হারিয়ে। প্রেমের অথৈ হৃদয় সমুদ্র খা খা করে বিস্তীর্ণ মরুভূমি। ক্ষত নিয়ে বুকে আছি বেঁচে তোমায় হারিয়ে। ধূসর চোখে শুধু তোমার স্মৃতি সঙ্গী হল জল, ছিন্ন হৃদয় হাহাকার করে তোমায় করে স্মরণ। তারিখঃ ০২-০৬-২০০৬

শ্রদ্ধা

সহস্র কোটি নত মস্তকে শ্রদ্ধা জানাই লক্ষ্য শহীদের চরনে। শ্রদ্ধা জানাই নত মস্তকে লক্ষ্য বীরাঙ্গনার চরনে। একাত্মা হই ছেলে হারা মায়ের শোকে, ভাই হারা বোনের ও স্বামী হারা স্ত্রীর শোকে। শ্রদ্ধা জানাই আজ সব ভাষা সৈনিকদের প্রতি, যারা দিয়েছিল প্রান দেশের তরে। ভুলিনি তোমাদের আজো ভুলবোনা আজীবন। এ হৃদয় মাঝে রাখবো বাঁচিয়ে তোমাদের স্মৃতি অম্লান।। তারিখঃ ২০-০২-২০০৬

ঈদ মুবারাক___________২০১৩

সব্বাইকে ঈদ এর শুভেচ্ছা..............."ঈদ মুবারাক"  

অব্যেক্ত কথন

শ্রাবনের ঘন মেঘ ছুটেছিল সন্ধ্যায়, তুমি আমি চোখাচোখি সেদিনের সেই একচিলতে বারান্দায়। বুঝতেনা কিছুই তুমি আমাকে ছাড়া। সেই তুমিই আজ অন্যের জালে দিয়েছ ধরা। চৈত্রের তাপদাহে জ্বালিয়ে আমায়, বর্ষার পরশে আজ মেতেছ দুজনায়। বলেছিলে তুমি হারাবেনা এ জীবন থেকে,                         রবে সূর্যের মত!  মনের গভীরে রাতের আধারে খুজেছি তোমায়                              কতো হাজার-শত! কালবৈশাখীর তাণ্ডবে আজ জীবন লণ্ডভণ্ড! ফাগুনেরই উষ্ণতায় ভরা তোমার জীবন                               ফুলে পরিপূর্ণ!  কৃষ্ণচূড়ায় কোকিল ডাকে মিহি সুরে, উতলা তোমার মন। চিত্ত আমার ব্যাথায় কাতর, ঝর্নার মত সে ঝরছে সারাক্ষণ!! তারিখঃ ১৭-০৭-২০০৬

প্রথম বৃষ্টি

ছুয়েছে আমায় বরষার প্রথম বৃষ্টি,                         লেগেছে সুরের মাতম!            উদ্দাম অনাসৃষ্টি।  ছুয়েছে আমায় বরষার প্রথম বৃষ্টি,                          হয়েছে পাগল মনরে আমার!            স্থির লোচনের দৃষ্টি। ছুয়েছে আমায় বরষার প্রথম বৃষ্টি,                         ভাবুক হৃদয়ের সাহিত্য রচনা!            বরষার প্রথম বৃষ্টি। ছুয়েছে আমায় বরষার প্রথম বৃষ্টি,                     ...

পঞ্চম গান

মনোরে......তুই হারাইসনা কোন মায়ার বাঁধনে............। হারালে যে তুই মজে যাবি এই জগত সংসারে...............। মায়ার বাঁধনে হারিয়ে শেষে ভুলে যাবি তোর আপন কাজেরে............। যার কারনে রাখলি পা তুই এই দুনিয়ায়.............................. তারে তুই ভুলিয়ে দিলি কোন সে আজব মায়ায়?????????????? লোভ-লালসার করলি পূজা, পূজা করলি ছলনার? আপনারই জগত সাজালি মিথ্যে, মেকী আর কল্পনার.........। মাটির টানে যাইতে হবে উপরয়ালার ইশারায়, পরকালের  হিসাব তুমি করলা কোন বেলায়? মায়ার ফেরে পইরা তুমি সর্গ করলা ইহকাল...............। মিথ্যা মোহের আকর্ষণে ভুইল্লা গেলা পরকাল।। তারিখঃ ০৬-০৯-২০০৬

চতুর্থ গান

জোছনাস্নাত এই মায়াবি রাতে, তারার বেনারসি গায়ে জড়িয়ে তোরে নিয়ে জাব আমার আপন ঘরে। তারপর দুজন মিলে এই রুপালী রাতে, হারিয়ে জাব কোন সুখসর্গে । ভালবাসার গান ছড়িয়ে দিয়ে নির্ঘুম কাটাবো মিলে দুজনে। স্নিগ্ধতারি পরশ মেখে রাঙ্গিয়ে দিবো ফিকে জগতাকে...... তারিখঃ ০৩-০৯-২০০৬

তৃতীয় গান

পুতুল তো নই আমি কাঁদে আমারও মন, হাঁট-বাজারে নাচার পরও পেলাম না তর মন.....ঃ( কোন পাথরে সৃষ্টিরে তুই, গড়া তোর ওই মন? হাজার স্রোতের হৃদয় লোচন করে টলমল.........। কতো আশায় বুক বাধিলাম, রঙ্গিন করিয়া মন। স্বপ্ন আজো সঙ্গি হারা উদাস সারাক্ষণ...............। পাথররুপি মনো যে গলবে একদিন, আমায় যখন হারাবি। মিথ্যে মায়ার দেয়াল তুলে কতইবা নিজেকে আর সাজাবি? তারিখঃ ১২-০৮-২০০৬

দ্বিতীয় গান

চাঁদের আলোর সাথে মিতালী তোমার এসেছ জোছনায়...............। সূর্যের স্পর্শ লাগেনি গায়ে ওগো নিরুপমা......... সন্ধ্যা তারা হাসে মিটি-মিটি, ঝি-ঝি পোকারাও বুঝি দিল উঁকি... তোমায় পেয়ে ধন্য হল যেন এই প্রকৃতি। শ্রাবন ধারার সাথে মিতালী তোমার এসেছ বরষায়..................। চুপটি করে কেন আছো তুমি ওগো নিরুপমা............ কৃষ্ণচূড়ার আজ হল একি? রাধাচূড়ার মনে সে যে দেয় উঁকি... তোমায় পেয়ে ধন্য হল যেন এই প্রকৃতি। তারিখঃ ১৮-০৭-২০০৬

প্রথম গান

মনরে তুই কেন এত ভাবিস? দরজার আড়ালে রইয়া শুধু কান্দিস। চুপিসারে এসেছিলে মনের গহীন বনে, নিঃস্ব করে চলে গেলে ভাসিয়ে চোখের জলে। কতইনা কইতা প্রেমের কথা আমার বুকেতে রাখিয়া মাথা। সব কিছুরে তুচ্ছ কর...আমি পাশে থাকি যদি আমি পাশে থাকি............। পায়ের তলায় পিষিয়া হৃদয় গেলা আমায় ছাড়ি, মনের দুঃখে ছাড়লাম আমি আপন ঘর আর বাড়ি।। তারিখঃ ১১-০৭-২০০৬

মানবিক

হয়েছি মোরা এক একাত্মা, রেখেছি হাতে হাত, দেখি না আমরা কতটুকু পারি রাঙ্গাতে নতুন প্রভাত। চেষ্টা রবে আজীবন কল্যাণে মানবতার, হোক না সে পথ বন্ধুর, ভারী আর নষ্ট যান্ত্রিকতার। হা-হুতাশ করি আমরা যখন আই- ফোনের জন্নে, বঞ্ছিতরা করে হা-হুতাশ শুধু পেট পুরে খাবার জন্নে। :( হাকিয়ে চলি নতুন গাড়ি মস্ত বড় রাস্তায়, আর ওরা অর্ধাহারে জীর্ণ শরীরে বসে রয় অন্ন চিন্তায়। ছিন্ন বস্র নোংরা শরীরে এঁটে রয় ঘামে ভিজে, নিত্য নতুন পারফিউমে আমার বসন সাঁজে  । উপলব্ধিতে বোধদয় হয় চিন্তায় ঘুমহারা এত কষ্টেও বাঁচতে পারে অসহায় দুস্থরা? তাইতো আমরা হয়েছি একাত্মা, রেখেছি হাতে হাত দেখি না আমরা কতটুকু পারি রাঙ্গাতে নতুন প্রভাত। // তারিখঃ ০৫-০৭-২০১৩

স্বপ্নহীন যুবরাজ

ঘুমের রাজ্যে নিশাচর আমি, স্বপ্নহীন যুবরাজ! শ্রাবন রাতে অস্থির আমি খুঁজি বন্ধনের বিশ্বাস। সুখ স্বপনের ভোর কি হবে নব প্রভাতে? আসবে কি তুমি জীবনটাকে নতুন রঙে রাঙাতে? বৃথা স্বপ্নের জাল বুনি শুধু  নিসঙ্গ এই রাত্রিতে। তোমায় আলিঙ্গনের আশ্বাস খুঁজি মাতাল ধরণীর করুনাতে! তারিখঃ ২৪-০৫-২০১৩; 

!!সময়!!

অঝোর শ্রাবনে রাত্রিময়...... ক্লান্তিহীন কিছু সময় কেটে যায় নির্ঘুম। অপেক্ষা শুধু আরাধ্য সময়ের বাকীটুকু নিশ্চুপ!! কোলাহলহীন স্তব্ধতা পেল আজ পূর্ণতা......... অঝোর শ্রাবনে কেটে গেল সময় রাত্রির অলসতায়!!!!!!!!! তারিখঃ ২৪-০৫-২০১৩/

তুচ্ছ করোনা দেশকে!

জন্মেছ যে দেশে মরবেও সে দেশে... তুচ্ছ কেন কর তোমরা নিজেই নিজের দেশকে? পরাধীন ছিল যে দেশ, শত বিসর্জনে স্বাধীন হল সে দেশ...... তুচ্ছ কেন কর তোমরা নিজেই নিজের দেশকে? এত কিছু আছে এ দেশে, তবুও বল কিছুই নেই এ দেশে...... তুচ্ছ কেন কর তোমরা নিজেই নিজের দেশকে? সবুজ শ্যামল যে দেশ, জেনে রাখিস...একদিন মরুভুমি হবে সেদেশ তুচ্ছ যদি করি আমারা নিজেই নিজের দেশকে। ফুল ফসলে দরিদ্র যে দেশ একদিন হবে সমৃদ্ধ সে দেশ! দয়া করে তুচ্ছ করোনা তোমরা নিজেই নিজের দেশকে। তারিখঃ ২০০৩

দেখতে লাগছে বেশ

বৃষ্টি পড়ে টিনের চালে, কাক ভেজা গাছের ডালে, দেখতে লাগছে বেশ! টিন গড়িয়ে বৃষ্টি পড়ে, গাছ গড়িয়ে বৃষ্টি পড়ে, দেখতে লাগছে বেশ! শীতের সকাল মিষ্টি বলে, মায়ের কোলে শিশু দোলে, দেখতে লাগছে বেশ! চৈত্র মাসে দুপুর বেলা, খেলছে সবাই পুতুল খেলা, দেখতে লাগছে বেশ! জ্যৈষ্ঠ মাসের পাকা আম, খাচ্ছে সবাই বিষণ সদাম, দেখতে লাগছে বেশ! তারিখঃ ২০০৩

আহাজারি

শোকের মাতম আকাশে বাতাসে ভারী হয়ে উঠে তা লাশের গন্ধে। আকুতি জানায় অর্ধমৃত প্রাণগুলি...... দিগন্ত জুড়ে স্বজনের আহাজারি। কি বীভৎস!!!!!! কি নিসংস!!!! কতইনা নির্মম। লাশের স্তূপ পড়েছে, জীবিতের ঘুম কেড়েছে। মহাজন হাসছে বসে দাত কেলিয়ে, করছে ফন্দী পা দুলিয়ে। আক্রোশে আজ ফুঁসে উঠেছে স্বজন হারা ভাই-বোন, আত্মা আজ অস্থির সেতো, করছে শুধুই আস্ফালন। ঠিক-বেঠিকের হিসাব বুঝিনা...... আমার ভাইয়েরে ফিরাইয়া দেন........., ভাত কাপড়ের অভাবে চাকরীতে আইসসা... মরব কেন????????? জবাব দেন??????????? আমার গেছে হাত, যে হাতে হতো সেলাই... এখন তা দিয়ে যে এখন ভিক্ষা চাইবার উপায়ও নাই!! তারিখঃ ২৬-০৪-২০১৩

সাভার ট্র্যাজেডি

ব্যাথাতুর ভারাক্রান্ত মনে শুধু অনুভব করি! ন্যূনতম ভাষা নেই সান্ত্বনা জানাবার :( :( দেশের নাগরিক হিসেবে এ মৃত্যুর জন্নে দায়ী আমি নিজেই। কিছুই কি করার ছিলনা ঘটনার পূর্বে? এত গুলো প্রান কেন পৃষ্ঠ হল? আমিই দায়ী এসবের জন্নে।  কেন আমি জন্মালাম এমন দেশে??????? যে দেশে নিশ্ছিন্তে মৃত্যুরও নিশ্চয়তা নেই। ভুখা মানুষের মিছিলে নব্য সম্রাজ্জবাদিদের মত কিভাবে পারলাম গুলি চালাতে??????? কথায় গিয়ে মানুষ গুলো জীবনের নিশ্চয়তা পাবে? এক একটা পরিবার নিঃস্ব হল তাদের শেষ উপার্জনক্ষম মানুষটাকে হারিয়ে। এসব পরিবারের ভবিষ্যৎ কি? এসবের জন্নে দায়ী আমিই। কেন জন্মালাম এমন দেশে? আর যারা এই ভয়াবহ উদাসীনতার নির্মম শিকারে বিকলাঙ্গ বা পঙ্গুত্ব বরন করেছে, যারা ছিল সংসারের একমাত্র উপার্জনকারি সে যদি  অ েন্যার বোঝা হয় তবে তাদের উপায় কি? আমরা নব্য সম্রাজ্জবাদিরা কি এর ক্ষতিপূরণ করতে পারবো? শুধু মনের বেথাতুর আকুতি দিয়ে তোদের সমবেদনা জানান ছাড়া আমার যে আর কিছুই করার নেই :( ইতিহাসের নির্মম তম দুর্ঘটনা নিয়েও আমারা রাজনীতি করি। আমাদের মত নির্লজ্জ বেহায়া বুঝি কেউ নেই এই পৃথিবীতে। এর জন্নে দ...

বৈশাখ

এসেছে বৈশাখ ধরার ধূলায়, প্রকৃতি নাচে ছন্দে............ মন কি তোমার হারাবেনা বন্ধু ভেজা মাটির শোধা গন্ধে?????? সব্বাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেছা!!!!    

বাংলাদেশের রুপ

ব্যস্ততার দোলাচল।

মনটা আমার বন্দি যে আজ ব্যস্ততার  ই শিকলে, খোলা আকাশ তো যায় না দেখা যান্ত্রিক এই নগরে। নেয়না খবর এখানে কেউ, নেই তো কোন আপনজন, নিঃসঙ্গ বসে আপনমনে তোমায় করছি স্মরণ। তোমার অবাধ্য দুষ্ট ছেলেটি, যে ছিল তোমার চোখের মনি, আজ সে যে চলছে টেনে বাস্তবতার কঠিন ঘানি। ইট পাঁথরের এই শহরে উজাড় হল প্রকৃতি মানব মনে বসত করে হিংস্রতা আর কু প্রবিত্তি// তারিখঃ ০৪-০৬-২০০৭ ঢাকা।

মহান আত্মা

সৃষ্টি মহান স্রষ্টার গুনে                              মনুষ্য মহান আত্মার ডাক শূনে। নব আত্মা নব প্রান                          নব দিগন্তের গাহিবে গান। মহান আত্মা হবে সে জন                                  করেছে যে উৎসর্গ জীবন মানবের ই কল্যাণে। দ্বিতীয় সত্তা করছে মানা                                 ও পথ শুধু কাটায় ভরা। আমিত্বটাও করছে লড়াই                                  ভোগবিলাস তাতে যাবে পালাই। দ...

বসন্তের কৌকিল

আষাঢ় গেল, শ্রাবণ গেল, ভাদ্র মাসে ভীষণ বর্ষা শুরু হলো। নয়ন জুড়ানো রমনিরা সব বসন্তের কৌকিলের ন্যায় ডেকে গেলো। অসময়ে বর্ষা শুরু হল। পৌষ গেল, মাঘ গেল, কুয়াশার চাদর নিয়ে শীত কই এলো। তবু রজকিনীর প্রেমও পাতা অকালে ঝড়ে গেলো। মুক্ত মন শূন্য তাই, করে স্নিগ্ধ প্রেমের আহবান দেবে সাড়া আছো কারা নিত্যানন্দ বিহঙ্গিনী। তবে প্রেমও পাতা ঝড়বেনা অকালে অসময়ে কুহু বলে ডাকবেনা বসন্তের কৌকিল। তারিখঃ ১৬-১০-২০০৮

ডানপিটে।

সত্যি করে বলোত শুনি হয়েছে তোমার কি? মা বকেছে, জ্বর হয়েছে, নাকি হয়েছে সর্দি? লিখতে আমার ভাল্লাগেনা, পরতেও যে মন চায় না। তারপরও চোখ রাঙিয়ে বলে সবাই "পড়তে যাও"। স্কুলেতে টিচার বকে, টিপ্পনী দেয় ছাত্ররা, আমার মত গাধা ছাত্র, অপদার্থ আরেকটা নাকি হয় না! তাইতো আমার স্কুলে যেতে ভাল্লাগেনা আর, স্কুলের নামে বেরিয়ে আমি হই যে পগার পার। স্কুলের গাছের আম পেড়ে খাই, সাথীদের গাছেও ঢিল মারি, সালুদের খেজুর রস নিয়ে যাই, আখের ক্ষেতে মোছ করি! লিপিদের খোঁয়াড়ে মুরগি হাওয়া, রাজুদের গয়ালে নেই গরু। এসব নিয়ে ছন্নছাড়া কয়েক কিশোরের দিন শুরু! মায়ের কাছে ওরা সবাই আমার নামে করেছে নালিশ ভয়ে মোর এখন ওষ্ঠাগত প্রান হবো যে ভীষণ পালিশ। :( তারিখঃ ২১-১০-২০০৮

চন্দ্রাবতি

বৃদ্ধা পূর্ণিমার ঝাপসা নয়ন আকুতি জানায় হতে অবিনশ্বর। আমাবস্যার আগ্রাসনে চন্দ্রাবতি কাপে থর......থর...............। মিষ্টি সুরেলা হিমেল হাওয়া দুলিয়ে যায় বন, উত্তাল মন খুজছে এখন প্রেমের শিহরণ! মাস গেলো বছর যায় যুগ হইল সারা দিকবিদিক খুজি তবু............ আমি চন্দ্রাবতি হারা!!!!!! খুজেছি  মাঠ, খুজেছি দেশ, খুজেছি অন্তরীক্ষ। তোমার সাড়া পেতে আকুল, মৃত প্রায় প্রান বৃক্ষ! সুপ্ত প্রেমের মুক্ত পাখা উড়ে বেড়াই দিগন্তে...... রংধনুর সাতটি রঙের ক্রীড়া চলে মন অন্তে। পৌষের ভোঁর কুয়াশা ঢাকা, ললাটে পড়েছে লাল টিপ, রজকিনীর আঁশে আজো আমি ফেলে রেখেছি নদিতে ছিপ। ওষ্ঠে তোমার ঠোঁট ছোঁয়াবো, করবো আলিঙ্গন, নিজের প্রাণটি বিলাব তোমার চরনে............,                               অশেষ ভজন! তারিখঃ ২৪-০১-২০০৯

মুড়ির মোয়া

লুটে পুটে খা তোরা সব লুটে পুটে খা...... দেশটা বুঝি মুড়ির মোয়া লুটে পুটে খা। যার যেমনি ইচ্ছে করে কামড়িয়ে খাস একটু করে! মজা পেয়ে বুনো পিঁপড়ে আছড়ে পড়ে সাড়ম্বরে। তারপরেতে আসেরে ভাই মক্ষীরা সব ভনভনিয়ে। দুষ্টু পাখীও ঠোকর মারে আপন সুখে মন রাঙ্গিয়ে। মুড়ির মালিক ছন্নছাড়া পায়না হদিস এরা কারা? এই সুযোগে মধু চোষে ভিনদেশি ভোমরারা!!! তারিখঃ ২৯-০৩-২০০৯

শিল্পী

যা কিছু প্রাকৃতিক তাই শিল্প, আর যা কিছু সুন্দর তাই প্রাকৃতিক। রংধনুর সাত রঙ্গে যেমন শিল্পের ছোঁয়া রয়েছে, কায়ক্লিষঠ কাদায় আবৃত মেদহীন শরীরেও রয়েছে তাই। ঘম্রাক্ত শরীরে অবিরত খাটুনী দিনশেষে শ্রান্ত হয় সূর্যের ন্যায়, হেলে পড়ে বিছানায়। প্রকৃতি মাঝেও রয়েছে চঞ্চলতা যেমন রয়েছে কৃষকের শরীরে, মজুরের মন ভাঙ্গে গড়ে আষাঢ়ে শ্রাবণে! সপ্নবাজ শ্রমিকেরা নিয়তির পাথর ভেঙ্গে করে চুরমার, আঘাত করে অদৃষ্টের কপাটে। শ্রমিক, মজুর, কৃষক ভাই তোরাই আসল শিল্পী, শিল্পের কি ভাব বুঝিরে আমিই আধম নস্যি।। তারিখঃ ২৬-১০-২০০৯

ছায়া

যতই দেখি ততই ভালো লাগে, এ রুপ মাধুরি কভু দেখিনিতো আগে। একি হইল আমার, সবখানেতে দেখি শুধু মুখটি তোমার! কি অপূর্ব, কি লাবণ্য শ্যামল ছায়ায়, দেখেছি তোমায় মায়াবি কোন জোছনায়। হারিয়েছে মন সে তো মেলেছে ডানা, শপথ করেছে সে, তোমায় ছাড়া নীড়ে আর ফিরিবেনা! তুমি কি চন্দ্রাবতী? নাকি শ্যামবর্ণের এলোকেশী? তুমি এলে কেন বাজে এ মনে মধুর করুণ বাঁশি? তুমি কি স্বপ্ন? তুমি কি মায়া?  তবে দেখি কেন বুকের বা পাঁশটাতে কেবল তোমারি ছায়া? তারিখঃ ২২-০৮-২০০৯

নবজাগরন

বিবেকের নবজাগরন শাহাবাগের প্রজন্ম চত্বর, তারুণের উছলতায় প্রানের দাবী একটাই...... ফাঁসি চাই!!!!!!!!!!!!!! ফাঁসি চাই!!!!!!!!!!!!!!!! মৃত বৃক্ষে প্রানের সঞ্চার দাবী তুলে......... ফাঁসি চাই .........ফাঁসি চাই............।।

বরষে।

গর্জায় গগন ঘন বরষে ময়ূর পেখম মেলে মনো হরষে। উতলা প্রেমিক মন পাবে খুঁজে শিহরণ প্রেমিকার দল সব গেলি কোথারে? যুগ যুগ ধরে যারা দিয়েছিল প্রান অমর প্রেমের বানী করে আম্লান, করে তারা হা-হুতাশ, নিশি নেয় দিবা শ্বাস আকালে মুকুল ঝরে আজি প্রভাতে। বল তোরা কথা গেলি নব বরষে? নব প্রেমে আকুল হব মনো হরষে!! তারিখঃ ২৪-০৭-২০০৮

জীবন ছিল দৈন্যতায়

সীমান্ত বিহীন সমুদ্র দিগন্তে আঁকি তোমার ছবি, শ্যামবর্ণের এলোকেশী তুমি, তোমার ছয়ায় শুভ্র হয় উন্মুক্ত এই ধরণী। তাই এঁকেছি তোমায় প্রকৃতি মাঝে খুজি বেলা অবেলায়, সকাল কিংবা সন্ধ্যা রুপে আসো আমার আঙ্গিনায়। পাথর গলে ঝর্ণা কর বৃক্ষ ফলাও মরুতে, রুক্ষতাকে সিক্ত কর উষ্ণ কর মেরুকে!! উজাড় করে ভালবাসা দাও পৃথিবী ভরুক পূর্ণতায়, তোমার মাঝে হারায়ে বুঝি জীবন ছিল দৈন্যতায়।। তারিখঃ ০৪-০৬-২০০৮

ছত্রাক পড়া হৃদ

দোলা লাগেনা মনে আজ, প্রেম জাগে না মনে, অনিন্দ্য সুন্দর প্রেমময় নারী আসেনা ধরাধামে! তাই প্রেম জাগেনা মনে! কৃষ্ণচূড়ার রঙের মত রঙ্গিন হয়না মন, ধুসর, ধুলি, কাঠ, কয়লার পড়েছে আচ্ছাদন। ছত্রাক পড়া হৃেদ আমার সুপ্ত আছে প্রেম, সক্রিয় হওয়ার বাসনা মনে খুজিছে সামন্ত মেম! প্রেম জাগাতে এসো তুমি আজ এই রুক্ষ ধরাধামে, শুদ্দ প্রেমের শবক শেখাও বিনা হিংসা, ক্রোধে ও কামে। আজীবন তোমায় পূঁজিবো আমি প্রেমময়ি অক্ষয়া, সোনালি ধানের শীষ ছোঁয়াবো হে প্রাকৃতিক মহামায়া। েসানালু ঢাকা মেঘাম্বরে নাচে বরষা নূপুর পায়ে, সিক্ত হব, প্রেম জাগাবো, মুক্ত হব নেয়ে।। তারিখঃ ১৪-০৫-২০০৮

প্রশ্ন

এভাবেই যদি যায় বেকার জীবন যাক না তাতে দোষের কি? সব হারিয়েও যদি চোখের জল না ফুরায়  তবে ক্ষতি কি? রিক্ত হাতে শূন্যে তাকিয়ে গালমন্দ ওপরালাকে তাতে প্রার্থনার দোষ কি? অশুভ সব চিন্তাকে ঝেড়ে ফেলে করি সত্যের পূজা তাতে শয়তানের সমস্যা কি? উচ্চাকিত আশা যদি না মিটে তবে কপালের দোষ কি? অর্থ যদি অনর্থ হয় তবে রোজগারের দোষ কি? শিক্ষিতজন নষ্ট হীন কর্মে তাতে শিক্ষর দোষ কি? গনতন্ত্র আজ কপাল ঠুকে করে হায় হায় তাতে রাজনীতির দোষ কি? মুখ্য চিন্তা আমিত্ব প্রিয় তাতে মানুষের দোষ কি? মৃত্যুতে জেনো সৃষ্টিই শুধু হবে তাতে ধ্বংসকারীর লাভ কি? সম্রাজ্জবাদ করে জঙ্গি হামলা তাতে ধর্মের দোষ কি? তারিখঃ ২৬-০৪-২০০৭

মুক্তির বারতা

ছোট্ট শিশুটির স্নিগ্ধ চেহারার দিকে তাকিএ বল...... ঐ শিশুটির মুখে প্রানভরে "বাবা" ডাক শুনবে বলেইত সেদিন স্বাধীনতা আনবে বলে যুেদ্ধ গিয়েছিলে। তোমাকে কি "একটি ফুল কে বাঁচাবো বলে  করি যুদ্ধ করি" গানটি আন্দলিত করেনি? তোমার অস্তিত্তের অপর হামলা সেদিন তোমাকে বিদ্রোহী করেনি? তোমার বাবা, মা, একমাত্র ছোটবোন কে দেশের জন্য বিসর্জন তোমাকে কি কাদায়নি? করেনি কি তোমাকে প্রতিশোধ পরায়ন? তবে আজ কেন নিশ্চুপ তুমি হে গাজী? আজ কি তোমার চোখে পড়েনা বাবার কোলে গুলিবিদ্দ হয় শিশু। আজ কি কোন গান তোমাকে আন্দোলিত করে না? দেশের অস্তিত্তের উপর হামলা তোমাকে কি বিদ্রোহী করে না? আজো কত বাবা, মা, কত ভাই, বোন জীবন বিসর্জন দিছে... তা কি তোমাকে এতটুকু কাদায় না? সেইদিনের মত মুক্তির বারতা পুনুরুদ্দারে শুধাই তোমার আহবান হে গাজী!!!! তারিখঃ ০৪-০৩-২০০৭

স্বপ্ন

তুমি  বলেছিলে আসলে আমি ঢাকবেনাকো মুখ! লজ্জায় রাঙ্গা ঐ মুখ আমি দেখবো সারাক্ষণ, কল্পনাতে এসব ভেবে চলছে সময় রাতের ট্রেনে। মেঘ যবে ছুটে চলে দিগন্ত পানে......... আমি তব ছুটেছিগো তোমার স্পর্শ টানে। তোমার ঐ মুখখানি মনে পড়ে যবে মুখেতে চিকন হাসি ফুতে ওঠে মোর, চোখেতে ভাসে মোর কতনা আশা। এই ভেবে কষ্ট হয় দূরত্ব তোঁ কম নয়। তোমার ঐ মুখখানি দেখবো আমি কবে। আকুল এমন পাগলপারা, তোমার সঙ্গে এর কারা! হঠাৎ চোখ মেলে বুঝি স্বপ্ন দেখছিলাম আমি। গধুলিবেলার সূর্যের মত তোমার ও মুখ ভাসছে কত আমারি দু চোখে। এসব কথা মনে হলে মনটা জানি কেমন করে। কথা কি সব বলবো আমি সাজিয়ে নিচ্ছি এখনি তাই। ! ! হঠাৎ বিকট আওয়াজ!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!! ঝি..................... ঝি............করছে চোখ!!!!!!!!!!! চারদিকে ঝাপসা................................................।। ছ্যাঁত... করে উঠলো মাথার ভিতরটা!!!!!!!!!!!!!!!!!!! তবে কি চলে জেতে হচ্ছে আমাকে? তোমার মুখখনি দেখা হলনা আর। চিকন হাসি রয়ে গেলো মুখেই স্বপ্ন খুজে ফিরছে ধুসর চোখ দুটোই!! তারিখঃ ১৫-০৮-২০০৫

মুখোত্তর

বাস্তবতা প্রশ্ন করে পায়না কোন উত্তর সত্য আমায় সাহস দিয়েছে করতে মিথ্যার প্রত্যুত্তর। স্বপ্নের পাল তুলি আমি আশার ডিঙ্গি নায়ে, স্বপ্নের পালে ঝড় বয়ে যায় বাস্তবতার তালে। সত্য আজ পৃষ্ঠ হয় দুর্নীতির যাঁতাকলে। জয়গান হয় দুর্নীতির আজ মিথ্যা হাতে বুক ফুলিয়ে, সত্য গেছে পরপারে আজ মানবিকতা বনবাসে!!

আমার আছে!!

আমার আছে বিশাল আকাশ তোমার তাতে কি? তুমি চিনো বোকা বাক্স আর বস্তা পচা ন্যাকামি!!!!!! তারিখঃ ০২-০৩-২০১২

বোঝ!

ধরেছত এই হাত তবে মরেছ তুমি                       করেছ তুমি একি? জ্বলবে তুমি, পুড়বে তুমি যদি করো এমন বোকামি! নষ্ট পথও ভ্রষ্ট আমি অ েন্যর পিঠের "বোঝ", নিজের দু-পােয় দাড়ায়ে তবু পাইনা নিজের খোঁজ!! হতাশ হৃদয় ক্লান্ত শরীর খুজিছে এমন পথ, খুব তাড়াতাড়ি বড়লোক হবার হয়েছে নতুন শখ। তোমার কপালে শনির দশা রাহু করেছে ভর, তানাহলে আমায় তুমি করছনা কেন পর? হারাবে তুমি জাত, মান সব হারাবে ভবিষ্যৎ, বর্তমানের সব সুখও স্বপ্ন তোমার হবে যে ধূলিসাৎ!! তারিখঃ ০২-১১-২০০৬

সেরা জীব???

মানব তুমি সৃষ্টির সেরা বুদ্ধি আছে বলে, আশরাফুল মাখলুকাত বলে তোমায় সেই গুনেরই জোরে! মানব তোমার আরেকটা গুন আছে সবার জানা, মানবিকতার উপর বল চলে কাদের হানা? পৃথিবীতে কোন প্রজাতি পিয়েছে নিজের রক্ত? করেছে বল কোন প্রজাতিনিজেদেরি দাসত্ব? মানবিকতার ধরন যদি এরকমই হয়, পশুর দলের অট্টহাসি উপহাসইতোঁ হয়। মানবের মাঝে মানবিকতা অবশিষ্ট না থাকে যদি আর, সৃষ্টির সেরা জীব তাকেনা বলাই দরকার। মনুষ্য জাতির কলঙ্ক সে মনুষ্যত্ব যার নেই, নিজের ভাইয়ের রক্ত ঝরালে ভালবাসাত মরবেই।। তারিখঃ ১৪-০৯-২০০৬

ছুঁয়ে দিয়েছি

ছুঁয়ে দিলাম তোমায় আলতো করে                      প্রজাপতির মতন। ভোরের কুয়াশা ভেজা ঘাসের শিশির বুলায়ে দিলাম                       আলতো করে তোমার ঐ গোলাপি ঠোঁটে!!                      

বসন্ত

সুখের পরশ বুলায়ে বুকে এলো যে ফাগুন ধারা, কৃষ্ণচুড়ার রঙ্গে আজ প্রকৃতি পাগলপারা। ভালবাসা তাই মৌ মৌ করে রাঙ্গিয়ে সারাবেলা!!

সত্যের সতীত্ব

শায়িত হয়ে নীতির শয্যায় সত্য কে কি ধর্ষণ করা যায়? পুত-পবিত্র সত্য কভু পারেনা নষ্টা হতে। মিথ্যার ন্যায় সত্যের কভু হয়নাকো বহু স্বামী, সত্য কভু মিথ্যার ন্যায় করেনাক মাতলামি। মিথ্যা প্রতেহ খাট বদলায় বেচে থাকার ছলে, সত্য করে দিনাতিপাত শ্রম, নিষ্ঠা ও বলে!  পতিতার  চেয়ে  গৃহাঙ্গিনি আর মিথ্যার চেয়ে সত্য যে দামি। সত্য হল ছাই চাঁপা ধূপ যেমন সতী নারী, আঘাত আসলে সতীত্তে তার পুরাবে দুনিয়াদারী। তাই, সত্যের জয় অবিনশ্বর, শেষে মিথ্যা করে আহাজারি!! তারিখঃ ০৫-০৩-২০০৭

জীবন

খণ্ড মেঘ, খণ্ড জরা, খণ্ড রৌদ্র, খণ্ড আশা তারই মাঝে নাও খুজে ভাই জীবনের সব ভালবাসা। খণ্ড ব্যাথা, খণ্ড দুখ, খণ্ড শান্তি, খণ্ড  সুখ এরই জন্নে বুঝবেরে ভাই জীবনটা যে কত অদ্ভুত। খণ্ড আভাষ, খণ্ড চাওয়া খণ্ড, খণ্ড পাওয়া না পাওয়া এরই মাঝে নাও খুজে ভাই জীবনের সব বাস্তবতা।। তারিখঃ ০৩-০৬-২০০৫

অপেক্ষা

চার বছরেও বুঝনি তুমি বুঝাব কত আর, আমি ভালবাসি তোমাকে এ কথাটি বারবার। না বুঝার ভান করেছ বুঝতেও চেষ্টা করনি, অদৃশ্য কোন এক হীনতায় চোখের ভাষা তুমি বুঝনি। কতইনা জানো ছলাকলা আর ছলচাতুরির খেলা, যদি বলতে ভালবাসি তবে তোমার রাঙ্গাতাম সারাবেলা। দুঃখ আমার কপাল গুনে আজো বলবো ভালবাসি সারাজীবনও বলবো তাই মরবোও হাসিহাসি।। তারিখঃ ০৫-০২-২০০৬

যাঁতাকল

ভাবনাগুলো খেলা করে উদাস দখিনা হাওয়ায় চিন্তার ঘন মেঘ ভর করে মনের আকাশে। চেণাজানা মুখগুলো কিভাবে পারে বদলাতে ? বড় হওয়ার মন্ত্র নিয়ে মুখে , করে আছে যত হীন কাজ। মানবিকতার বুক মাড়িয়ে মিছিল চলে পাশবিকতার। হাহাকার করে নৈতিকতা , সম্মানিত হয় প্রতারণা। বড় বুলি মুখে যার সেই তো বড় নয়তো কঠিন ব্যাপার। ছোটো হওয়া তাই নয় বড় গুন , কেইবা চায় ছোট হতে। অন্যায় সবার কাঁধে চোড়ে করছে আজ ঘোড়সওয়ার ,   তাগড়া আর লাগামহীন বোলে পোড়েনা কভু সে ধরা। হীন চরিত্রপুরস্কৃত হয় গুণী সংবর্ধনায় , গুণী চরিত্র লাঞ্ছিত হয় জঙ্গি হায়ণা র হানায়। মুখের কথায় কোন দাম নেই আজ , দাম বেশী এখন কাগজের।  অস্র আর গোলা বারুদের নয়, খেলা চলে এখন মগজের! মুখে তাদের অমৃত রস, অন্তরে ভরা গরল কূট-বুদ্দিতেই সর্বনাশ করে আছে যত প্রান সরল। হিংস্র থাবায় শিশু মরে, মরে নিরীহ জনগণ বৈঠক এর পর বৈঠক করে আর করে মিথ্যে প্রহসন। জোর যার সে দিচ্ছে চাপিয়ে আশ্রয় নিয়ে ছলের, নতুন করে বুঝি হল শুরু ওঃপনিবেশ যাঁতাকলের।। তারিখঃ ২৪-০৮-২০০৬

ল্যাম্পপোস্টের প্রজ্বলিত সভা

ল্যাম্পপোস্টের প্রজ্বলিত সভা মূর্তিমান। ছিন্ন বস্র পরিধেয়, নিথর দেহ নিদ্রায় আছন্ন ক্লান্তিতে। অবিনেস্থ কৃষ্ণ চুলের মস্তক শায়িত হয় টুকরো বস্র বেষ্টিত পাথর খণ্ডে। ল্যাম্পপোস্টের প্রজ্বলিত সভা মূর্তিমান। মাথার উপর পরিষ্কার বিশাল আকাশ,                               তারা ঝলমলে রাত, প্রকৃতির লালিত্তে নিবৃত হয় মনের খোরাক। ল্যাম্পপোস্টের প্রজ্বলিত সভা সদাই মূর্তিমান। কখনো অভুক্ত বা অরধভুক্ত দিন কাটে                          অথবা রাত্রি জাগায়, পাপবোধ উবে গেছে বাস্পের ন্যায়, জীর্ণশীর্ণ, দুর্বল দেহ কখনোবা আসক্ত নেশায়। ল্যাম্পপোস্টের প্রজ্বলিত সভা সর্বদাই মূর্তিমান। বর্ষায় হয়ত কাটাতে হয় নির্ঘুম রাত হয়তো আশ্রয় হয় কোন পরিতেক্ত দালানে! শীতার্ত কম্পমান দেহে হয়কি উষ্ণতার সংকুলান? ল্যাম্পপোস্টের প্রজ্বলিত সভা সদাই মূর্তিমান। তিনবেলা পেট পুরে খাওয়ার স্বপ্ন চোখে         ...

তেলের তেলেসমাতি

কত্তসব তেলেসমাতি আছে এই দুনিয়ায় চোখে না দেখলে বুঝবেনারে                       দেখে একবার নাও তাই। কারখানাতে মালিক নড়ে, সরকার নড়ে একটা দেশেরও গরিব-দুঃখীর তাও পেট ভরেনা পারেনা বাঁচতে একটু হেসেও। অফিসেতে ফাইল নড়ে না যদি না মাখ পায়ে তেল, বিচার যদি চাও পুলিশে খাবে ধমক, যাবে জেল। এই তেলের অভাবে জীবন অচল বাড়ি বানাতেও লাগে ভাই স্কুল, কলেজে পড়তে গেলে তেল ছাড়া যে উপায় নাই। চাকরির বাজারে তারে মামা বলে মামা সবার আপন জন, মামা ছাড়া ভাই চাকরি নাইরে......... এই কথাটি রেখো স্মরণ। তেলের কারনে হারিয়েছি আজ নীতি, আস্থা, মানবিকতা। মূল্যবোধের মাথা মাড়িয়েছি তাই দুর্নীতিতে আজ আমরা বিশ্বসেরা।। তারিখঃ২০-০৭-২০০৬

খেলনা

দেশটা তোমার তাই বলে কি  তা তোমার হাতের খেলনা? ত্রিশ লক্ষ্য শহীদ কিেগা এমনতর ফেলনা? দেশের মানুষ বোকা মূর্খ তাইতো তুমি রানী, সেই ক্ষমতায় ছুড়ে দাও তুমি দেশ অচলের বানী। গনতন্ত্র? গনতন্ত্র? মুখেই হয় খৈ সৃষ্ট ফলাফলটা যা হয় তা স্বৈরাচারীক উছিচষট। মুণ্ড-মাথা সব যে আজ তোমার মুঠোবন্ধি ক্ষমতার লোভ মাথায় নিয়ে করছ নানান ফন্দি। জঘন্য আর অসুস্থ এসব হীন রাজনীতি রাজনীতি আর রাজনীতি নেইরে তা হয়েছে ক্ষমতা প্রীতি। ক্ষমতা ধর্ম, ক্ষমতা সপ্ন, ক্ষমতাই চোখের মনি, হারালে ক্ষমতা সবাই বলে হয়েছে কারচুপি। দ্বিধা-বিভক্ত জাতি আজ হয়েছে দিশেহারা, "অকার্যকর" এই লেভাসের বল কাটবে কখন ফারা? স্বদেশ প্রেমিক আম জনতা এসো এগিয়ে দেশের কপালে সব কলঙ্কের দাগ আজ দিবো মিটিয়ে।। তারিখঃ ১৮-১২-২০০৬

একাকীত্বের যাতনা

মেঘলা আকাশ, অথৈ বরষায় তৃষিত হৃদয় খোলা জানালায়          গুমরে কাঁদে। নিস্তব্ধ রাত, উদ্দীপ্ত বাসনায় একাকী জীবন খোলা জানালায়            গুমরে কাঁদে। দখিণা বাতাসে, অস্ফুট ক্রন্দন নির্লিপ্ত চাহনি খোলা জানালায়           গুমরে কাঁদে। রোদেলা দুপুর, আকাঙ্ক্ষিতের অপেক্ষয় উদ্ভ্রান্ত যুবক খোলা জানালায়           গুমরে কাঁদে। ভরা পূর্ণিমা,  একাকীত্বের যাতনায় মলিন জোছনা খোলা জানালায়           গুমরে কাঁদে। দীর্ঘ বিকেল, যন্ত্রণায় দগ্ধ গোধূলির আভা খোলা জানালায়           গুমরে কাঁদে। অশান্ত নদী, অস্থির মনের উত্তাল ঢেউ খোলা জানালায়           গুমরে কাঁদে। বিমর্ষ প্রকিতি, অফুরন্ত সময় অপেক্ষার প্রহর খোলা জানালায়         ...

কাপুরুষত্ব

থামকে দাড়াই একটু হেটেই পিচ-পা হই অনেখানি। কমে যায় জীবনের স্থিতিস্থাপকতা মিথ্যে হয় নিউটন এর তৃতীয় সুত্রের বাস্তবতা।  হতাশার রথে চড়ে আত্মবিশ্বাস যায় হারিয়ে গ্লানি আর অপমানই হয় আজীবন সঙ্গী।  থামকে দাড়াই একটু হেটেই পিচ-পা হই অনেখানি। সংকীর্ণতায় ডুবে আছে মন কিহবে করে মিথ্যে পন কেমনে দেখব জীবনের নতুন স্বপন সংকল্পকে যে লাগে ভীষণ ভয়। থামকে দাড়াই একটু হেটেই পিচ-পা হই অনেখানি। পরের চিন্তায় সদা মশগুল সমালোচনায় পঞ্চমুখ। নীতিবাক্যের  ফুলঝুরি হয় মানতে অনেক দ্বিধা-সংকোচ থামকে দাড়াই একটু হেটেই পিচ-পা হই অনেখানি।। তারিখঃ ০৭-০৫-২০০৬

প্রােপ্যর অপূর্ণতা

মৃত্যুতে যা অর্জন আমার নব জন্ম যে তোমারি। পরিশ্রমে যা উৎপাদিত আমার ভোগ্য আজ তোমারি। কষ্টার্জিত সাফল্য আমার সাধুবাদ শুধু তোমারি। পানি হয় আজ রক্ত আমার সার্থকতা যে তোমারি। তবু অভাবে মোদের জীবন চলে আয়শি জীবন তোমারি। হাহুতাশই জীবন আমার সুখময় ভবিষ্যৎ তোমারি। তীব্র শীতে কষ্ট আমার সব উষ্ণতা আজ তোমারি। ন্যায়নিষ্ঠতাই জীবন আমার পাপিষ্ঠ জীবন তোমারি। প্রােপ্যর অপূর্ণতা আমার অপ্রােপ্যর পূর্ণতা তোমারি!

মুলনাজল

সৌন্দর্য শিকড়ের সম্মিলিত স্নান লোনা জলে খাবিখাওয়া শ্বাসমূলের প্রান। জোছনা রাতে বয়ে যাওয়া লোনা হাওয়ার গ্রান প্রকিতির এই উন্মাদনা চলবেই অবিরাম। মুলনাজল জোছনার আলোয় করেছে স্নান তাদেরই প্রেম চিরজীবন রইবে অম্লান। 

পরিপূরক

মেঘ দেখে অন্ধকার ভেবে ভয় পেওনা, সূর্য তার আড়ালে সর্বদাই মূর্তিমান। মিথ্যাকে তোমরা দোষ দিও না, সত্য সদাই পরিস্ফুটিত হয় তারই কারনে। আর কান্না সেটা আছে বলেইত হাসিটা এত মধুর মনে হয়। দুঃখ! যা অনুভবের পরই বুযতে  পারবে সুখটা কি। পরাজয় আছে বলেইত বিজয়টা এত কাঙ্ক্ষিত। সমাজে গরিব আছে বলেইত তুমি নিজেকে ধনি মনে কর। খারাপ লক আছে বলেইত সমাজে ভালো লোকের কদর বেশি। কৃষ্ণ বর্ণের কল্যাণেই ত শ্বেত বর্ণের এই আত্মপ্রকাশ। "বীভৎসতা"  যা না থাকলে সুন্দরকে চেনা যেতো না। আর শয়তানের পরচনায় পরেইত আমরা সৃষ্টিকর্তাকে আবিস্কার করেছি।। তারিখঃ ২৮-০২-২০০৬                                                                         ...

!!বিবেকের দংশন!!

হাতড়ে ফিরি অন্ধকারে,                                বিবেক তুমি দাও সাড়া। যুদ্ধের লাগি যারা জীবন দিল............                                 তাদের খবর আজ নেয় কারা? দুয়েকটা দিন খুব শোনা যায় সকাল থেকে সন্ধ্যা,                                  তারপরেতে নাক ডাকি ভাই  দেইখাও আজ আমরা আন্ধা। কেউ ঘুরে আজ পথে পথে হাতে নিয়ে থালা ভিক্ষার,                                   তাই দেখে আজ কারো মনে জাগেনা এতটুকু ধিক্কার!    ...

নষ্টা

নষ্টা ------ স্নিগ্ধ সুশোভিত সকাল ও সাঁঝে পুষ্প সুরভীতে খুজি তোমারে। খুজিতে খুজিতে মোর কাজ হইলো সারা ভাবিতে ভাবিতে গেলো মোর সারাটি বেলা। সুন্দরের মাঝে তোমায় পাইনা খুঁজে আর সুষমারা তোমারই জন্য রুখেছে দুয়ার। রুখবে কেও দুয়ার তোমার কলঙ্কিতরা আলঙ্ক্রিত করবে সবই ভিন্ন ধারার। এরি জন্য তুমি কিগ এসেছিলে ধরায় অন্ধ সুখের মোহে তুমি সব্বাইকে করেছ পরায়।

অন্বেষণ

অস্থির আত্মা বঞ্ছিত শরীর অস্ফুট আশা নিভৃতে বধির। নির্ঘুম রাত্র্রি ঝাপসা জোছনা লাঞ্ছিত হয় প্রকৃতি কতনা।    চৌচির চিত্ত উন্মাদ তটিনী কাঙ্ক্ষিত ধ্রুব তেজস্বী কামিনী। কল্পনা হাস্য অলিক স্বপ্ন অজাত সৃষ্ট পৃথিবী বিশ্ব। প্রেমিক স্থির প্রেমের পথে অতৃপ্ত বাঞ্ছ চলতি রথে।

"প্রাণেশ"

রুক্ষ প্রকিতির দিগন্ত জুড়ে মরীচিকার হাহাকার, আস্ফালন শুধু দৃষ্টি জুড়ে মরুময় এ হৃদয়। কখনো আশায় বুক বাঁধে সে কখনোবা নিরুদ্দেশ, বসন্ত রাগে উপশম কর উজাড় তপ্ত অনিকেত। শতবর্ষ পেরিয়ে গেলেও হবেনা ক্ষান্ত প্রাণেশ। হোক যত সুনামি অথবা বন্যা, খরা দুর্গম প্রেমপথ ডিঙ্গাবে তারা নিঃশেষে দ্বিধা সংকোচ। ঝড় ঝড় উদ্দাম ঝড়ো ঝড়ো বাতাসে মন মাঝি বৈঠা ধরে পাল তুলে আকাশে, চাঁদ সুরুজের সুনিপুণ ইশারায় উচাটন হৃদে খেলে জোয়ার ভাটা। বল তোরা কোথা গেলি নব বরষে? নব প্রেমে আকুল হব মনও হরষে।