সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

মার্চ, ২০১৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ব্যস্ততার দোলাচল।

মনটা আমার বন্দি যে আজ ব্যস্ততার  ই শিকলে, খোলা আকাশ তো যায় না দেখা যান্ত্রিক এই নগরে। নেয়না খবর এখানে কেউ, নেই তো কোন আপনজন, নিঃসঙ্গ বসে আপনমনে তোমায় করছি স্মরণ। তোমার অবাধ্য দুষ্ট ছেলেটি, যে ছিল তোমার চোখের মনি, আজ সে যে চলছে টেনে বাস্তবতার কঠিন ঘানি। ইট পাঁথরের এই শহরে উজাড় হল প্রকৃতি মানব মনে বসত করে হিংস্রতা আর কু প্রবিত্তি// তারিখঃ ০৪-০৬-২০০৭ ঢাকা।

মহান আত্মা

সৃষ্টি মহান স্রষ্টার গুনে                              মনুষ্য মহান আত্মার ডাক শূনে। নব আত্মা নব প্রান                          নব দিগন্তের গাহিবে গান। মহান আত্মা হবে সে জন                                  করেছে যে উৎসর্গ জীবন মানবের ই কল্যাণে। দ্বিতীয় সত্তা করছে মানা                                 ও পথ শুধু কাটায় ভরা। আমিত্বটাও করছে লড়াই                                  ভোগবিলাস তাতে যাবে পালাই। দ...

বসন্তের কৌকিল

আষাঢ় গেল, শ্রাবণ গেল, ভাদ্র মাসে ভীষণ বর্ষা শুরু হলো। নয়ন জুড়ানো রমনিরা সব বসন্তের কৌকিলের ন্যায় ডেকে গেলো। অসময়ে বর্ষা শুরু হল। পৌষ গেল, মাঘ গেল, কুয়াশার চাদর নিয়ে শীত কই এলো। তবু রজকিনীর প্রেমও পাতা অকালে ঝড়ে গেলো। মুক্ত মন শূন্য তাই, করে স্নিগ্ধ প্রেমের আহবান দেবে সাড়া আছো কারা নিত্যানন্দ বিহঙ্গিনী। তবে প্রেমও পাতা ঝড়বেনা অকালে অসময়ে কুহু বলে ডাকবেনা বসন্তের কৌকিল। তারিখঃ ১৬-১০-২০০৮

ডানপিটে।

সত্যি করে বলোত শুনি হয়েছে তোমার কি? মা বকেছে, জ্বর হয়েছে, নাকি হয়েছে সর্দি? লিখতে আমার ভাল্লাগেনা, পরতেও যে মন চায় না। তারপরও চোখ রাঙিয়ে বলে সবাই "পড়তে যাও"। স্কুলেতে টিচার বকে, টিপ্পনী দেয় ছাত্ররা, আমার মত গাধা ছাত্র, অপদার্থ আরেকটা নাকি হয় না! তাইতো আমার স্কুলে যেতে ভাল্লাগেনা আর, স্কুলের নামে বেরিয়ে আমি হই যে পগার পার। স্কুলের গাছের আম পেড়ে খাই, সাথীদের গাছেও ঢিল মারি, সালুদের খেজুর রস নিয়ে যাই, আখের ক্ষেতে মোছ করি! লিপিদের খোঁয়াড়ে মুরগি হাওয়া, রাজুদের গয়ালে নেই গরু। এসব নিয়ে ছন্নছাড়া কয়েক কিশোরের দিন শুরু! মায়ের কাছে ওরা সবাই আমার নামে করেছে নালিশ ভয়ে মোর এখন ওষ্ঠাগত প্রান হবো যে ভীষণ পালিশ। :( তারিখঃ ২১-১০-২০০৮

চন্দ্রাবতি

বৃদ্ধা পূর্ণিমার ঝাপসা নয়ন আকুতি জানায় হতে অবিনশ্বর। আমাবস্যার আগ্রাসনে চন্দ্রাবতি কাপে থর......থর...............। মিষ্টি সুরেলা হিমেল হাওয়া দুলিয়ে যায় বন, উত্তাল মন খুজছে এখন প্রেমের শিহরণ! মাস গেলো বছর যায় যুগ হইল সারা দিকবিদিক খুজি তবু............ আমি চন্দ্রাবতি হারা!!!!!! খুজেছি  মাঠ, খুজেছি দেশ, খুজেছি অন্তরীক্ষ। তোমার সাড়া পেতে আকুল, মৃত প্রায় প্রান বৃক্ষ! সুপ্ত প্রেমের মুক্ত পাখা উড়ে বেড়াই দিগন্তে...... রংধনুর সাতটি রঙের ক্রীড়া চলে মন অন্তে। পৌষের ভোঁর কুয়াশা ঢাকা, ললাটে পড়েছে লাল টিপ, রজকিনীর আঁশে আজো আমি ফেলে রেখেছি নদিতে ছিপ। ওষ্ঠে তোমার ঠোঁট ছোঁয়াবো, করবো আলিঙ্গন, নিজের প্রাণটি বিলাব তোমার চরনে............,                               অশেষ ভজন! তারিখঃ ২৪-০১-২০০৯

মুড়ির মোয়া

লুটে পুটে খা তোরা সব লুটে পুটে খা...... দেশটা বুঝি মুড়ির মোয়া লুটে পুটে খা। যার যেমনি ইচ্ছে করে কামড়িয়ে খাস একটু করে! মজা পেয়ে বুনো পিঁপড়ে আছড়ে পড়ে সাড়ম্বরে। তারপরেতে আসেরে ভাই মক্ষীরা সব ভনভনিয়ে। দুষ্টু পাখীও ঠোকর মারে আপন সুখে মন রাঙ্গিয়ে। মুড়ির মালিক ছন্নছাড়া পায়না হদিস এরা কারা? এই সুযোগে মধু চোষে ভিনদেশি ভোমরারা!!! তারিখঃ ২৯-০৩-২০০৯

শিল্পী

যা কিছু প্রাকৃতিক তাই শিল্প, আর যা কিছু সুন্দর তাই প্রাকৃতিক। রংধনুর সাত রঙ্গে যেমন শিল্পের ছোঁয়া রয়েছে, কায়ক্লিষঠ কাদায় আবৃত মেদহীন শরীরেও রয়েছে তাই। ঘম্রাক্ত শরীরে অবিরত খাটুনী দিনশেষে শ্রান্ত হয় সূর্যের ন্যায়, হেলে পড়ে বিছানায়। প্রকৃতি মাঝেও রয়েছে চঞ্চলতা যেমন রয়েছে কৃষকের শরীরে, মজুরের মন ভাঙ্গে গড়ে আষাঢ়ে শ্রাবণে! সপ্নবাজ শ্রমিকেরা নিয়তির পাথর ভেঙ্গে করে চুরমার, আঘাত করে অদৃষ্টের কপাটে। শ্রমিক, মজুর, কৃষক ভাই তোরাই আসল শিল্পী, শিল্পের কি ভাব বুঝিরে আমিই আধম নস্যি।। তারিখঃ ২৬-১০-২০০৯

ছায়া

যতই দেখি ততই ভালো লাগে, এ রুপ মাধুরি কভু দেখিনিতো আগে। একি হইল আমার, সবখানেতে দেখি শুধু মুখটি তোমার! কি অপূর্ব, কি লাবণ্য শ্যামল ছায়ায়, দেখেছি তোমায় মায়াবি কোন জোছনায়। হারিয়েছে মন সে তো মেলেছে ডানা, শপথ করেছে সে, তোমায় ছাড়া নীড়ে আর ফিরিবেনা! তুমি কি চন্দ্রাবতী? নাকি শ্যামবর্ণের এলোকেশী? তুমি এলে কেন বাজে এ মনে মধুর করুণ বাঁশি? তুমি কি স্বপ্ন? তুমি কি মায়া?  তবে দেখি কেন বুকের বা পাঁশটাতে কেবল তোমারি ছায়া? তারিখঃ ২২-০৮-২০০৯

নবজাগরন

বিবেকের নবজাগরন শাহাবাগের প্রজন্ম চত্বর, তারুণের উছলতায় প্রানের দাবী একটাই...... ফাঁসি চাই!!!!!!!!!!!!!! ফাঁসি চাই!!!!!!!!!!!!!!!! মৃত বৃক্ষে প্রানের সঞ্চার দাবী তুলে......... ফাঁসি চাই .........ফাঁসি চাই............।।

বরষে।

গর্জায় গগন ঘন বরষে ময়ূর পেখম মেলে মনো হরষে। উতলা প্রেমিক মন পাবে খুঁজে শিহরণ প্রেমিকার দল সব গেলি কোথারে? যুগ যুগ ধরে যারা দিয়েছিল প্রান অমর প্রেমের বানী করে আম্লান, করে তারা হা-হুতাশ, নিশি নেয় দিবা শ্বাস আকালে মুকুল ঝরে আজি প্রভাতে। বল তোরা কথা গেলি নব বরষে? নব প্রেমে আকুল হব মনো হরষে!! তারিখঃ ২৪-০৭-২০০৮

জীবন ছিল দৈন্যতায়

সীমান্ত বিহীন সমুদ্র দিগন্তে আঁকি তোমার ছবি, শ্যামবর্ণের এলোকেশী তুমি, তোমার ছয়ায় শুভ্র হয় উন্মুক্ত এই ধরণী। তাই এঁকেছি তোমায় প্রকৃতি মাঝে খুজি বেলা অবেলায়, সকাল কিংবা সন্ধ্যা রুপে আসো আমার আঙ্গিনায়। পাথর গলে ঝর্ণা কর বৃক্ষ ফলাও মরুতে, রুক্ষতাকে সিক্ত কর উষ্ণ কর মেরুকে!! উজাড় করে ভালবাসা দাও পৃথিবী ভরুক পূর্ণতায়, তোমার মাঝে হারায়ে বুঝি জীবন ছিল দৈন্যতায়।। তারিখঃ ০৪-০৬-২০০৮

ছত্রাক পড়া হৃদ

দোলা লাগেনা মনে আজ, প্রেম জাগে না মনে, অনিন্দ্য সুন্দর প্রেমময় নারী আসেনা ধরাধামে! তাই প্রেম জাগেনা মনে! কৃষ্ণচূড়ার রঙের মত রঙ্গিন হয়না মন, ধুসর, ধুলি, কাঠ, কয়লার পড়েছে আচ্ছাদন। ছত্রাক পড়া হৃেদ আমার সুপ্ত আছে প্রেম, সক্রিয় হওয়ার বাসনা মনে খুজিছে সামন্ত মেম! প্রেম জাগাতে এসো তুমি আজ এই রুক্ষ ধরাধামে, শুদ্দ প্রেমের শবক শেখাও বিনা হিংসা, ক্রোধে ও কামে। আজীবন তোমায় পূঁজিবো আমি প্রেমময়ি অক্ষয়া, সোনালি ধানের শীষ ছোঁয়াবো হে প্রাকৃতিক মহামায়া। েসানালু ঢাকা মেঘাম্বরে নাচে বরষা নূপুর পায়ে, সিক্ত হব, প্রেম জাগাবো, মুক্ত হব নেয়ে।। তারিখঃ ১৪-০৫-২০০৮

প্রশ্ন

এভাবেই যদি যায় বেকার জীবন যাক না তাতে দোষের কি? সব হারিয়েও যদি চোখের জল না ফুরায়  তবে ক্ষতি কি? রিক্ত হাতে শূন্যে তাকিয়ে গালমন্দ ওপরালাকে তাতে প্রার্থনার দোষ কি? অশুভ সব চিন্তাকে ঝেড়ে ফেলে করি সত্যের পূজা তাতে শয়তানের সমস্যা কি? উচ্চাকিত আশা যদি না মিটে তবে কপালের দোষ কি? অর্থ যদি অনর্থ হয় তবে রোজগারের দোষ কি? শিক্ষিতজন নষ্ট হীন কর্মে তাতে শিক্ষর দোষ কি? গনতন্ত্র আজ কপাল ঠুকে করে হায় হায় তাতে রাজনীতির দোষ কি? মুখ্য চিন্তা আমিত্ব প্রিয় তাতে মানুষের দোষ কি? মৃত্যুতে জেনো সৃষ্টিই শুধু হবে তাতে ধ্বংসকারীর লাভ কি? সম্রাজ্জবাদ করে জঙ্গি হামলা তাতে ধর্মের দোষ কি? তারিখঃ ২৬-০৪-২০০৭

মুক্তির বারতা

ছোট্ট শিশুটির স্নিগ্ধ চেহারার দিকে তাকিএ বল...... ঐ শিশুটির মুখে প্রানভরে "বাবা" ডাক শুনবে বলেইত সেদিন স্বাধীনতা আনবে বলে যুেদ্ধ গিয়েছিলে। তোমাকে কি "একটি ফুল কে বাঁচাবো বলে  করি যুদ্ধ করি" গানটি আন্দলিত করেনি? তোমার অস্তিত্তের অপর হামলা সেদিন তোমাকে বিদ্রোহী করেনি? তোমার বাবা, মা, একমাত্র ছোটবোন কে দেশের জন্য বিসর্জন তোমাকে কি কাদায়নি? করেনি কি তোমাকে প্রতিশোধ পরায়ন? তবে আজ কেন নিশ্চুপ তুমি হে গাজী? আজ কি তোমার চোখে পড়েনা বাবার কোলে গুলিবিদ্দ হয় শিশু। আজ কি কোন গান তোমাকে আন্দোলিত করে না? দেশের অস্তিত্তের উপর হামলা তোমাকে কি বিদ্রোহী করে না? আজো কত বাবা, মা, কত ভাই, বোন জীবন বিসর্জন দিছে... তা কি তোমাকে এতটুকু কাদায় না? সেইদিনের মত মুক্তির বারতা পুনুরুদ্দারে শুধাই তোমার আহবান হে গাজী!!!! তারিখঃ ০৪-০৩-২০০৭

স্বপ্ন

তুমি  বলেছিলে আসলে আমি ঢাকবেনাকো মুখ! লজ্জায় রাঙ্গা ঐ মুখ আমি দেখবো সারাক্ষণ, কল্পনাতে এসব ভেবে চলছে সময় রাতের ট্রেনে। মেঘ যবে ছুটে চলে দিগন্ত পানে......... আমি তব ছুটেছিগো তোমার স্পর্শ টানে। তোমার ঐ মুখখানি মনে পড়ে যবে মুখেতে চিকন হাসি ফুতে ওঠে মোর, চোখেতে ভাসে মোর কতনা আশা। এই ভেবে কষ্ট হয় দূরত্ব তোঁ কম নয়। তোমার ঐ মুখখানি দেখবো আমি কবে। আকুল এমন পাগলপারা, তোমার সঙ্গে এর কারা! হঠাৎ চোখ মেলে বুঝি স্বপ্ন দেখছিলাম আমি। গধুলিবেলার সূর্যের মত তোমার ও মুখ ভাসছে কত আমারি দু চোখে। এসব কথা মনে হলে মনটা জানি কেমন করে। কথা কি সব বলবো আমি সাজিয়ে নিচ্ছি এখনি তাই। ! ! হঠাৎ বিকট আওয়াজ!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!!! ঝি..................... ঝি............করছে চোখ!!!!!!!!!!! চারদিকে ঝাপসা................................................।। ছ্যাঁত... করে উঠলো মাথার ভিতরটা!!!!!!!!!!!!!!!!!!! তবে কি চলে জেতে হচ্ছে আমাকে? তোমার মুখখনি দেখা হলনা আর। চিকন হাসি রয়ে গেলো মুখেই স্বপ্ন খুজে ফিরছে ধুসর চোখ দুটোই!! তারিখঃ ১৫-০৮-২০০৫

মুখোত্তর

বাস্তবতা প্রশ্ন করে পায়না কোন উত্তর সত্য আমায় সাহস দিয়েছে করতে মিথ্যার প্রত্যুত্তর। স্বপ্নের পাল তুলি আমি আশার ডিঙ্গি নায়ে, স্বপ্নের পালে ঝড় বয়ে যায় বাস্তবতার তালে। সত্য আজ পৃষ্ঠ হয় দুর্নীতির যাঁতাকলে। জয়গান হয় দুর্নীতির আজ মিথ্যা হাতে বুক ফুলিয়ে, সত্য গেছে পরপারে আজ মানবিকতা বনবাসে!!

আমার আছে!!

আমার আছে বিশাল আকাশ তোমার তাতে কি? তুমি চিনো বোকা বাক্স আর বস্তা পচা ন্যাকামি!!!!!! তারিখঃ ০২-০৩-২০১২

বোঝ!

ধরেছত এই হাত তবে মরেছ তুমি                       করেছ তুমি একি? জ্বলবে তুমি, পুড়বে তুমি যদি করো এমন বোকামি! নষ্ট পথও ভ্রষ্ট আমি অ েন্যর পিঠের "বোঝ", নিজের দু-পােয় দাড়ায়ে তবু পাইনা নিজের খোঁজ!! হতাশ হৃদয় ক্লান্ত শরীর খুজিছে এমন পথ, খুব তাড়াতাড়ি বড়লোক হবার হয়েছে নতুন শখ। তোমার কপালে শনির দশা রাহু করেছে ভর, তানাহলে আমায় তুমি করছনা কেন পর? হারাবে তুমি জাত, মান সব হারাবে ভবিষ্যৎ, বর্তমানের সব সুখও স্বপ্ন তোমার হবে যে ধূলিসাৎ!! তারিখঃ ০২-১১-২০০৬

সেরা জীব???

মানব তুমি সৃষ্টির সেরা বুদ্ধি আছে বলে, আশরাফুল মাখলুকাত বলে তোমায় সেই গুনেরই জোরে! মানব তোমার আরেকটা গুন আছে সবার জানা, মানবিকতার উপর বল চলে কাদের হানা? পৃথিবীতে কোন প্রজাতি পিয়েছে নিজের রক্ত? করেছে বল কোন প্রজাতিনিজেদেরি দাসত্ব? মানবিকতার ধরন যদি এরকমই হয়, পশুর দলের অট্টহাসি উপহাসইতোঁ হয়। মানবের মাঝে মানবিকতা অবশিষ্ট না থাকে যদি আর, সৃষ্টির সেরা জীব তাকেনা বলাই দরকার। মনুষ্য জাতির কলঙ্ক সে মনুষ্যত্ব যার নেই, নিজের ভাইয়ের রক্ত ঝরালে ভালবাসাত মরবেই।। তারিখঃ ১৪-০৯-২০০৬

ছুঁয়ে দিয়েছি

ছুঁয়ে দিলাম তোমায় আলতো করে                      প্রজাপতির মতন। ভোরের কুয়াশা ভেজা ঘাসের শিশির বুলায়ে দিলাম                       আলতো করে তোমার ঐ গোলাপি ঠোঁটে!!                      

বসন্ত

সুখের পরশ বুলায়ে বুকে এলো যে ফাগুন ধারা, কৃষ্ণচুড়ার রঙ্গে আজ প্রকৃতি পাগলপারা। ভালবাসা তাই মৌ মৌ করে রাঙ্গিয়ে সারাবেলা!!

সত্যের সতীত্ব

শায়িত হয়ে নীতির শয্যায় সত্য কে কি ধর্ষণ করা যায়? পুত-পবিত্র সত্য কভু পারেনা নষ্টা হতে। মিথ্যার ন্যায় সত্যের কভু হয়নাকো বহু স্বামী, সত্য কভু মিথ্যার ন্যায় করেনাক মাতলামি। মিথ্যা প্রতেহ খাট বদলায় বেচে থাকার ছলে, সত্য করে দিনাতিপাত শ্রম, নিষ্ঠা ও বলে!  পতিতার  চেয়ে  গৃহাঙ্গিনি আর মিথ্যার চেয়ে সত্য যে দামি। সত্য হল ছাই চাঁপা ধূপ যেমন সতী নারী, আঘাত আসলে সতীত্তে তার পুরাবে দুনিয়াদারী। তাই, সত্যের জয় অবিনশ্বর, শেষে মিথ্যা করে আহাজারি!! তারিখঃ ০৫-০৩-২০০৭

জীবন

খণ্ড মেঘ, খণ্ড জরা, খণ্ড রৌদ্র, খণ্ড আশা তারই মাঝে নাও খুজে ভাই জীবনের সব ভালবাসা। খণ্ড ব্যাথা, খণ্ড দুখ, খণ্ড শান্তি, খণ্ড  সুখ এরই জন্নে বুঝবেরে ভাই জীবনটা যে কত অদ্ভুত। খণ্ড আভাষ, খণ্ড চাওয়া খণ্ড, খণ্ড পাওয়া না পাওয়া এরই মাঝে নাও খুজে ভাই জীবনের সব বাস্তবতা।। তারিখঃ ০৩-০৬-২০০৫

অপেক্ষা

চার বছরেও বুঝনি তুমি বুঝাব কত আর, আমি ভালবাসি তোমাকে এ কথাটি বারবার। না বুঝার ভান করেছ বুঝতেও চেষ্টা করনি, অদৃশ্য কোন এক হীনতায় চোখের ভাষা তুমি বুঝনি। কতইনা জানো ছলাকলা আর ছলচাতুরির খেলা, যদি বলতে ভালবাসি তবে তোমার রাঙ্গাতাম সারাবেলা। দুঃখ আমার কপাল গুনে আজো বলবো ভালবাসি সারাজীবনও বলবো তাই মরবোও হাসিহাসি।। তারিখঃ ০৫-০২-২০০৬

যাঁতাকল

ভাবনাগুলো খেলা করে উদাস দখিনা হাওয়ায় চিন্তার ঘন মেঘ ভর করে মনের আকাশে। চেণাজানা মুখগুলো কিভাবে পারে বদলাতে ? বড় হওয়ার মন্ত্র নিয়ে মুখে , করে আছে যত হীন কাজ। মানবিকতার বুক মাড়িয়ে মিছিল চলে পাশবিকতার। হাহাকার করে নৈতিকতা , সম্মানিত হয় প্রতারণা। বড় বুলি মুখে যার সেই তো বড় নয়তো কঠিন ব্যাপার। ছোটো হওয়া তাই নয় বড় গুন , কেইবা চায় ছোট হতে। অন্যায় সবার কাঁধে চোড়ে করছে আজ ঘোড়সওয়ার ,   তাগড়া আর লাগামহীন বোলে পোড়েনা কভু সে ধরা। হীন চরিত্রপুরস্কৃত হয় গুণী সংবর্ধনায় , গুণী চরিত্র লাঞ্ছিত হয় জঙ্গি হায়ণা র হানায়। মুখের কথায় কোন দাম নেই আজ , দাম বেশী এখন কাগজের।  অস্র আর গোলা বারুদের নয়, খেলা চলে এখন মগজের! মুখে তাদের অমৃত রস, অন্তরে ভরা গরল কূট-বুদ্দিতেই সর্বনাশ করে আছে যত প্রান সরল। হিংস্র থাবায় শিশু মরে, মরে নিরীহ জনগণ বৈঠক এর পর বৈঠক করে আর করে মিথ্যে প্রহসন। জোর যার সে দিচ্ছে চাপিয়ে আশ্রয় নিয়ে ছলের, নতুন করে বুঝি হল শুরু ওঃপনিবেশ যাঁতাকলের।। তারিখঃ ২৪-০৮-২০০৬

ল্যাম্পপোস্টের প্রজ্বলিত সভা

ল্যাম্পপোস্টের প্রজ্বলিত সভা মূর্তিমান। ছিন্ন বস্র পরিধেয়, নিথর দেহ নিদ্রায় আছন্ন ক্লান্তিতে। অবিনেস্থ কৃষ্ণ চুলের মস্তক শায়িত হয় টুকরো বস্র বেষ্টিত পাথর খণ্ডে। ল্যাম্পপোস্টের প্রজ্বলিত সভা মূর্তিমান। মাথার উপর পরিষ্কার বিশাল আকাশ,                               তারা ঝলমলে রাত, প্রকৃতির লালিত্তে নিবৃত হয় মনের খোরাক। ল্যাম্পপোস্টের প্রজ্বলিত সভা সদাই মূর্তিমান। কখনো অভুক্ত বা অরধভুক্ত দিন কাটে                          অথবা রাত্রি জাগায়, পাপবোধ উবে গেছে বাস্পের ন্যায়, জীর্ণশীর্ণ, দুর্বল দেহ কখনোবা আসক্ত নেশায়। ল্যাম্পপোস্টের প্রজ্বলিত সভা সর্বদাই মূর্তিমান। বর্ষায় হয়ত কাটাতে হয় নির্ঘুম রাত হয়তো আশ্রয় হয় কোন পরিতেক্ত দালানে! শীতার্ত কম্পমান দেহে হয়কি উষ্ণতার সংকুলান? ল্যাম্পপোস্টের প্রজ্বলিত সভা সদাই মূর্তিমান। তিনবেলা পেট পুরে খাওয়ার স্বপ্ন চোখে         ...

তেলের তেলেসমাতি

কত্তসব তেলেসমাতি আছে এই দুনিয়ায় চোখে না দেখলে বুঝবেনারে                       দেখে একবার নাও তাই। কারখানাতে মালিক নড়ে, সরকার নড়ে একটা দেশেরও গরিব-দুঃখীর তাও পেট ভরেনা পারেনা বাঁচতে একটু হেসেও। অফিসেতে ফাইল নড়ে না যদি না মাখ পায়ে তেল, বিচার যদি চাও পুলিশে খাবে ধমক, যাবে জেল। এই তেলের অভাবে জীবন অচল বাড়ি বানাতেও লাগে ভাই স্কুল, কলেজে পড়তে গেলে তেল ছাড়া যে উপায় নাই। চাকরির বাজারে তারে মামা বলে মামা সবার আপন জন, মামা ছাড়া ভাই চাকরি নাইরে......... এই কথাটি রেখো স্মরণ। তেলের কারনে হারিয়েছি আজ নীতি, আস্থা, মানবিকতা। মূল্যবোধের মাথা মাড়িয়েছি তাই দুর্নীতিতে আজ আমরা বিশ্বসেরা।। তারিখঃ২০-০৭-২০০৬

খেলনা

দেশটা তোমার তাই বলে কি  তা তোমার হাতের খেলনা? ত্রিশ লক্ষ্য শহীদ কিেগা এমনতর ফেলনা? দেশের মানুষ বোকা মূর্খ তাইতো তুমি রানী, সেই ক্ষমতায় ছুড়ে দাও তুমি দেশ অচলের বানী। গনতন্ত্র? গনতন্ত্র? মুখেই হয় খৈ সৃষ্ট ফলাফলটা যা হয় তা স্বৈরাচারীক উছিচষট। মুণ্ড-মাথা সব যে আজ তোমার মুঠোবন্ধি ক্ষমতার লোভ মাথায় নিয়ে করছ নানান ফন্দি। জঘন্য আর অসুস্থ এসব হীন রাজনীতি রাজনীতি আর রাজনীতি নেইরে তা হয়েছে ক্ষমতা প্রীতি। ক্ষমতা ধর্ম, ক্ষমতা সপ্ন, ক্ষমতাই চোখের মনি, হারালে ক্ষমতা সবাই বলে হয়েছে কারচুপি। দ্বিধা-বিভক্ত জাতি আজ হয়েছে দিশেহারা, "অকার্যকর" এই লেভাসের বল কাটবে কখন ফারা? স্বদেশ প্রেমিক আম জনতা এসো এগিয়ে দেশের কপালে সব কলঙ্কের দাগ আজ দিবো মিটিয়ে।। তারিখঃ ১৮-১২-২০০৬

একাকীত্বের যাতনা

মেঘলা আকাশ, অথৈ বরষায় তৃষিত হৃদয় খোলা জানালায়          গুমরে কাঁদে। নিস্তব্ধ রাত, উদ্দীপ্ত বাসনায় একাকী জীবন খোলা জানালায়            গুমরে কাঁদে। দখিণা বাতাসে, অস্ফুট ক্রন্দন নির্লিপ্ত চাহনি খোলা জানালায়           গুমরে কাঁদে। রোদেলা দুপুর, আকাঙ্ক্ষিতের অপেক্ষয় উদ্ভ্রান্ত যুবক খোলা জানালায়           গুমরে কাঁদে। ভরা পূর্ণিমা,  একাকীত্বের যাতনায় মলিন জোছনা খোলা জানালায়           গুমরে কাঁদে। দীর্ঘ বিকেল, যন্ত্রণায় দগ্ধ গোধূলির আভা খোলা জানালায়           গুমরে কাঁদে। অশান্ত নদী, অস্থির মনের উত্তাল ঢেউ খোলা জানালায়           গুমরে কাঁদে। বিমর্ষ প্রকিতি, অফুরন্ত সময় অপেক্ষার প্রহর খোলা জানালায়         ...

কাপুরুষত্ব

থামকে দাড়াই একটু হেটেই পিচ-পা হই অনেখানি। কমে যায় জীবনের স্থিতিস্থাপকতা মিথ্যে হয় নিউটন এর তৃতীয় সুত্রের বাস্তবতা।  হতাশার রথে চড়ে আত্মবিশ্বাস যায় হারিয়ে গ্লানি আর অপমানই হয় আজীবন সঙ্গী।  থামকে দাড়াই একটু হেটেই পিচ-পা হই অনেখানি। সংকীর্ণতায় ডুবে আছে মন কিহবে করে মিথ্যে পন কেমনে দেখব জীবনের নতুন স্বপন সংকল্পকে যে লাগে ভীষণ ভয়। থামকে দাড়াই একটু হেটেই পিচ-পা হই অনেখানি। পরের চিন্তায় সদা মশগুল সমালোচনায় পঞ্চমুখ। নীতিবাক্যের  ফুলঝুরি হয় মানতে অনেক দ্বিধা-সংকোচ থামকে দাড়াই একটু হেটেই পিচ-পা হই অনেখানি।। তারিখঃ ০৭-০৫-২০০৬

প্রােপ্যর অপূর্ণতা

মৃত্যুতে যা অর্জন আমার নব জন্ম যে তোমারি। পরিশ্রমে যা উৎপাদিত আমার ভোগ্য আজ তোমারি। কষ্টার্জিত সাফল্য আমার সাধুবাদ শুধু তোমারি। পানি হয় আজ রক্ত আমার সার্থকতা যে তোমারি। তবু অভাবে মোদের জীবন চলে আয়শি জীবন তোমারি। হাহুতাশই জীবন আমার সুখময় ভবিষ্যৎ তোমারি। তীব্র শীতে কষ্ট আমার সব উষ্ণতা আজ তোমারি। ন্যায়নিষ্ঠতাই জীবন আমার পাপিষ্ঠ জীবন তোমারি। প্রােপ্যর অপূর্ণতা আমার অপ্রােপ্যর পূর্ণতা তোমারি!

মুলনাজল

সৌন্দর্য শিকড়ের সম্মিলিত স্নান লোনা জলে খাবিখাওয়া শ্বাসমূলের প্রান। জোছনা রাতে বয়ে যাওয়া লোনা হাওয়ার গ্রান প্রকিতির এই উন্মাদনা চলবেই অবিরাম। মুলনাজল জোছনার আলোয় করেছে স্নান তাদেরই প্রেম চিরজীবন রইবে অম্লান। 

পরিপূরক

মেঘ দেখে অন্ধকার ভেবে ভয় পেওনা, সূর্য তার আড়ালে সর্বদাই মূর্তিমান। মিথ্যাকে তোমরা দোষ দিও না, সত্য সদাই পরিস্ফুটিত হয় তারই কারনে। আর কান্না সেটা আছে বলেইত হাসিটা এত মধুর মনে হয়। দুঃখ! যা অনুভবের পরই বুযতে  পারবে সুখটা কি। পরাজয় আছে বলেইত বিজয়টা এত কাঙ্ক্ষিত। সমাজে গরিব আছে বলেইত তুমি নিজেকে ধনি মনে কর। খারাপ লক আছে বলেইত সমাজে ভালো লোকের কদর বেশি। কৃষ্ণ বর্ণের কল্যাণেই ত শ্বেত বর্ণের এই আত্মপ্রকাশ। "বীভৎসতা"  যা না থাকলে সুন্দরকে চেনা যেতো না। আর শয়তানের পরচনায় পরেইত আমরা সৃষ্টিকর্তাকে আবিস্কার করেছি।। তারিখঃ ২৮-০২-২০০৬                                                                         ...

!!বিবেকের দংশন!!

হাতড়ে ফিরি অন্ধকারে,                                বিবেক তুমি দাও সাড়া। যুদ্ধের লাগি যারা জীবন দিল............                                 তাদের খবর আজ নেয় কারা? দুয়েকটা দিন খুব শোনা যায় সকাল থেকে সন্ধ্যা,                                  তারপরেতে নাক ডাকি ভাই  দেইখাও আজ আমরা আন্ধা। কেউ ঘুরে আজ পথে পথে হাতে নিয়ে থালা ভিক্ষার,                                   তাই দেখে আজ কারো মনে জাগেনা এতটুকু ধিক্কার!    ...

নষ্টা

নষ্টা ------ স্নিগ্ধ সুশোভিত সকাল ও সাঁঝে পুষ্প সুরভীতে খুজি তোমারে। খুজিতে খুজিতে মোর কাজ হইলো সারা ভাবিতে ভাবিতে গেলো মোর সারাটি বেলা। সুন্দরের মাঝে তোমায় পাইনা খুঁজে আর সুষমারা তোমারই জন্য রুখেছে দুয়ার। রুখবে কেও দুয়ার তোমার কলঙ্কিতরা আলঙ্ক্রিত করবে সবই ভিন্ন ধারার। এরি জন্য তুমি কিগ এসেছিলে ধরায় অন্ধ সুখের মোহে তুমি সব্বাইকে করেছ পরায়।

অন্বেষণ

অস্থির আত্মা বঞ্ছিত শরীর অস্ফুট আশা নিভৃতে বধির। নির্ঘুম রাত্র্রি ঝাপসা জোছনা লাঞ্ছিত হয় প্রকৃতি কতনা।    চৌচির চিত্ত উন্মাদ তটিনী কাঙ্ক্ষিত ধ্রুব তেজস্বী কামিনী। কল্পনা হাস্য অলিক স্বপ্ন অজাত সৃষ্ট পৃথিবী বিশ্ব। প্রেমিক স্থির প্রেমের পথে অতৃপ্ত বাঞ্ছ চলতি রথে।

"প্রাণেশ"

রুক্ষ প্রকিতির দিগন্ত জুড়ে মরীচিকার হাহাকার, আস্ফালন শুধু দৃষ্টি জুড়ে মরুময় এ হৃদয়। কখনো আশায় বুক বাঁধে সে কখনোবা নিরুদ্দেশ, বসন্ত রাগে উপশম কর উজাড় তপ্ত অনিকেত। শতবর্ষ পেরিয়ে গেলেও হবেনা ক্ষান্ত প্রাণেশ। হোক যত সুনামি অথবা বন্যা, খরা দুর্গম প্রেমপথ ডিঙ্গাবে তারা নিঃশেষে দ্বিধা সংকোচ। ঝড় ঝড় উদ্দাম ঝড়ো ঝড়ো বাতাসে মন মাঝি বৈঠা ধরে পাল তুলে আকাশে, চাঁদ সুরুজের সুনিপুণ ইশারায় উচাটন হৃদে খেলে জোয়ার ভাটা। বল তোরা কোথা গেলি নব বরষে? নব প্রেমে আকুল হব মনও হরষে।