সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ব্যস্ততার দোলাচল।

মনটা আমার বন্দি যে আজ ব্যস্ততার  ই শিকলে, খোলা আকাশ তো যায় না দেখা যান্ত্রিক এই নগরে। নেয়না খবর এখানে কেউ, নেই তো কোন আপনজন, নিঃসঙ্গ বসে আপনমনে তোমায় করছি স্মরণ। তোমার অবাধ্য দুষ্ট ছেলেটি, যে ছিল তোমার চোখের মনি, আজ সে যে চলছে টেনে বাস্তবতার কঠিন ঘানি। ইট পাঁথরের এই শহরে উজাড় হল প্রকৃতি মানব মনে বসত করে হিংস্রতা আর কু প্রবিত্তি// তারিখঃ ০৪-০৬-২০০৭ ঢাকা।

মহান আত্মা

সৃষ্টি মহান স্রষ্টার গুনে                              মনুষ্য মহান আত্মার ডাক শূনে। নব আত্মা নব প্রান                          নব দিগন্তের গাহিবে গান। মহান আত্মা হবে সে জন                                  করেছে যে উৎসর্গ জীবন মানবের ই কল্যাণে। দ্বিতীয় সত্তা করছে মানা                                 ও পথ শুধু কাটায় ভরা। আমিত্বটাও করছে লড়াই                                  ভোগবিলাস তাতে যাবে পালাই। দ...

বসন্তের কৌকিল

আষাঢ় গেল, শ্রাবণ গেল, ভাদ্র মাসে ভীষণ বর্ষা শুরু হলো। নয়ন জুড়ানো রমনিরা সব বসন্তের কৌকিলের ন্যায় ডেকে গেলো। অসময়ে বর্ষা শুরু হল। পৌষ গেল, মাঘ গেল, কুয়াশার চাদর নিয়ে শীত কই এলো। তবু রজকিনীর প্রেমও পাতা অকালে ঝড়ে গেলো। মুক্ত মন শূন্য তাই, করে স্নিগ্ধ প্রেমের আহবান দেবে সাড়া আছো কারা নিত্যানন্দ বিহঙ্গিনী। তবে প্রেমও পাতা ঝড়বেনা অকালে অসময়ে কুহু বলে ডাকবেনা বসন্তের কৌকিল। তারিখঃ ১৬-১০-২০০৮

ডানপিটে।

সত্যি করে বলোত শুনি হয়েছে তোমার কি? মা বকেছে, জ্বর হয়েছে, নাকি হয়েছে সর্দি? লিখতে আমার ভাল্লাগেনা, পরতেও যে মন চায় না। তারপরও চোখ রাঙিয়ে বলে সবাই "পড়তে যাও"। স্কুলেতে টিচার বকে, টিপ্পনী দেয় ছাত্ররা, আমার মত গাধা ছাত্র, অপদার্থ আরেকটা নাকি হয় না! তাইতো আমার স্কুলে যেতে ভাল্লাগেনা আর, স্কুলের নামে বেরিয়ে আমি হই যে পগার পার। স্কুলের গাছের আম পেড়ে খাই, সাথীদের গাছেও ঢিল মারি, সালুদের খেজুর রস নিয়ে যাই, আখের ক্ষেতে মোছ করি! লিপিদের খোঁয়াড়ে মুরগি হাওয়া, রাজুদের গয়ালে নেই গরু। এসব নিয়ে ছন্নছাড়া কয়েক কিশোরের দিন শুরু! মায়ের কাছে ওরা সবাই আমার নামে করেছে নালিশ ভয়ে মোর এখন ওষ্ঠাগত প্রান হবো যে ভীষণ পালিশ। :( তারিখঃ ২১-১০-২০০৮

চন্দ্রাবতি

বৃদ্ধা পূর্ণিমার ঝাপসা নয়ন আকুতি জানায় হতে অবিনশ্বর। আমাবস্যার আগ্রাসনে চন্দ্রাবতি কাপে থর......থর...............। মিষ্টি সুরেলা হিমেল হাওয়া দুলিয়ে যায় বন, উত্তাল মন খুজছে এখন প্রেমের শিহরণ! মাস গেলো বছর যায় যুগ হইল সারা দিকবিদিক খুজি তবু............ আমি চন্দ্রাবতি হারা!!!!!! খুজেছি  মাঠ, খুজেছি দেশ, খুজেছি অন্তরীক্ষ। তোমার সাড়া পেতে আকুল, মৃত প্রায় প্রান বৃক্ষ! সুপ্ত প্রেমের মুক্ত পাখা উড়ে বেড়াই দিগন্তে...... রংধনুর সাতটি রঙের ক্রীড়া চলে মন অন্তে। পৌষের ভোঁর কুয়াশা ঢাকা, ললাটে পড়েছে লাল টিপ, রজকিনীর আঁশে আজো আমি ফেলে রেখেছি নদিতে ছিপ। ওষ্ঠে তোমার ঠোঁট ছোঁয়াবো, করবো আলিঙ্গন, নিজের প্রাণটি বিলাব তোমার চরনে............,                               অশেষ ভজন! তারিখঃ ২৪-০১-২০০৯

মুড়ির মোয়া

লুটে পুটে খা তোরা সব লুটে পুটে খা...... দেশটা বুঝি মুড়ির মোয়া লুটে পুটে খা। যার যেমনি ইচ্ছে করে কামড়িয়ে খাস একটু করে! মজা পেয়ে বুনো পিঁপড়ে আছড়ে পড়ে সাড়ম্বরে। তারপরেতে আসেরে ভাই মক্ষীরা সব ভনভনিয়ে। দুষ্টু পাখীও ঠোকর মারে আপন সুখে মন রাঙ্গিয়ে। মুড়ির মালিক ছন্নছাড়া পায়না হদিস এরা কারা? এই সুযোগে মধু চোষে ভিনদেশি ভোমরারা!!! তারিখঃ ২৯-০৩-২০০৯

শিল্পী

যা কিছু প্রাকৃতিক তাই শিল্প, আর যা কিছু সুন্দর তাই প্রাকৃতিক। রংধনুর সাত রঙ্গে যেমন শিল্পের ছোঁয়া রয়েছে, কায়ক্লিষঠ কাদায় আবৃত মেদহীন শরীরেও রয়েছে তাই। ঘম্রাক্ত শরীরে অবিরত খাটুনী দিনশেষে শ্রান্ত হয় সূর্যের ন্যায়, হেলে পড়ে বিছানায়। প্রকৃতি মাঝেও রয়েছে চঞ্চলতা যেমন রয়েছে কৃষকের শরীরে, মজুরের মন ভাঙ্গে গড়ে আষাঢ়ে শ্রাবণে! সপ্নবাজ শ্রমিকেরা নিয়তির পাথর ভেঙ্গে করে চুরমার, আঘাত করে অদৃষ্টের কপাটে। শ্রমিক, মজুর, কৃষক ভাই তোরাই আসল শিল্পী, শিল্পের কি ভাব বুঝিরে আমিই আধম নস্যি।। তারিখঃ ২৬-১০-২০০৯