সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

2014 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

রাজপথে হঠাৎ দেখা পথসুন্দরী

তোমার নেশা ধরা ডাগর চোখের প্রেমে পড়ি সকাল, দুপুর, সান্ধ্য। দীঘল চুলের আলতো পরশে আমার মায়াবী ধরণীটা ক্ষণিকেই যেন অন্ধ। প্রেমে পড়েছি তোমার হেঁটে চলায় ইচ্ছে করে পিছু নেই, অদম্য সাহসে আটকিয়ে পথ জিজ্ঞেস করি নামটি কি? প্রেমে পড়েছি তোমার চপল কথার ঢঙে ভাবনায় আছো সমস্ত দিবা-রাত্রি। আর কি কখনো পাবো দেখা রাজপথে হঠাৎ দেখা ওহে পথসুন্দরী!!! ২৮-১১-২০১৪

পরিবর্তিত নিয়তির রেখা এঁকেছেন কোন নিষ্ঠুর বিধাতাই

থমকে গেছি আমি, নিশ্চুপ হয়ে গেছো তুমি আমাকে কাছে পেলে কেন করোনা আগের মতো পাগলামি? থমকে গেছি আমি, বেশ বদলেও গেছো তুমি জীবনের ঘানী কাঁধে চাপায় ভুলেছি সব মনগড়া আতলামি। পরিবর্তন এসেছে আচরণে, পরিবর্তিত রুপ দেখি তোমারও ইচ্ছেগুলোর অকাল প্রয়ানে মাঝে মাঝে দীর্ঘশ্বাস মিলায় অন্তরেও। নিয়তির নিয়ম পরিবর্তনে, মনুষ্য মাঝেও আছে তাই তোমার আমার নিয়তির রেখা এঁকেছেন কোন নিষ্ঠুর বিধাতাই। ২৮-১১-২০১৪

বড্ড ভয় করে মাগো

ভয় হয় মাগো বড্ড ভয় করে তুই চলে গেলে একা থাকবো কি করে? বল কার আঁচলে মুখটি মুছে আদুরে থাপ্পড় খাবো? দুষ্টমী ভরা আবদারগুলো নিয়ে কার সামনে দাঁড়াবো? নানা অজুহাতে নিশি ভোর করে আসতাম যখন ঘরে আচ্ছা করে কান মলে দিয়েছিস শুধু, ভুলেই ব্যাস্ত হয়ে পড়তি পরক্ষনে। সামান্য অসুখেই চিন্তায় অস্থির মুখে তুলে দিয়েছিস খাবার বাহিরে গেলেও ঘণ্টায়, ঘণ্টায় খবর নিয়েছিস বারবার। তাই আজ তোর অসুখে বুকে কাপুনি ধরে ভাবি তুই চলে গেলে একা থাকবো কি করে? ১৯-১১-২০১৪

"মানব চরিত্র আর ভণ্ডামি দুটোই একে অপরের পরিপূরক"

মানুষ তুমি, তোমার মধ্যে কিছু ভাণ্ডামি তো থাকবেই! মনে তুমি লালন করো এক কথা আর প্রকাশ করো আরেক। সাক্ষাৎ হলেই হয় আবেগের উদগিরন আর আড়াল হলেই হয় নিষ্ক্রিয়। মানুষ তোমার পরিচয় ভণ্ডামিতেই! অগ্রজের অনৈতিক অধিকার খাটিয়ে করছো তুমি অনুজে বঞ্চিত। নশ্বর ধরণীর বুকে চরিত্র তোমার অভিশাপের বৈয়াম এ সঞ্চিত। ভণ্ডামি করো বলেই তো তুমি মানুষ! রিক্সায় চড়ে তুমি ভর্ত্সনা করো বড় রাস্তার প্রায় সবটুকু জুড়ে থাকা বড় বড় গাড়িগুলোর চালক কিংবা মালিককে। আবার সেই তুমিই তীব্র ভর্ত্সনায় গর্জে ওঠো রিক্সা চালকের উপর যখন তুমি চড়ে বেড়াও সু-বিশাল মোটরকার কিংবা বাসে। সাধু চরিত্রের আড়ালে গাও ভণ্ডামির গুনগান! সভা-সমাবেশ এ দরদের খৈ ফুটিয়ে করছো রাজনীতি। আবার দিনে-দুপুরেই চোখে ধুলা দাও এ কেমন ক্ষমতাপ্রীতি? বকধার্মিকের ভণ্ডামি সম্পর্কে আছে সবার জানা। ধর্মের সু-বিস্তৃত শুদ্ধতাকে কলঙ্কিত করছো তুমি আর করছো ব্যাক্তি মতবাদ এর প্রতিষ্ঠা। ধিক্কার তোমায় সরল প্রানের ধর্মভীরুতাকে কাজে লাগিয়ে ধর্মান্ধের কুসংস্কার প্রচারেই যার আস্থা। ভণ্ডামির আরও কতো রুপ আছে সবার অজানা! মজুতদারি করে করছো আয় মিশিয়ে খাদ্যে ভেজাল আর বিষাক...

"তোমাকে দেখার পর"

তোমাকে দেখার পর নিলাভ আকাশের সুদর্শনা রংধনু দেখি না। তোমাকে দেখার পর চঞ্চলা প্রজাপতির পিছে আর ছুটি না। তোমাকে দেখার পর বর্ণিল ফুলেদের তারিফ কিন্তু করি না। তোমাকে দেখার পর পড়ন্ত বেলায় গোধূলির ছবি আঁকি না। তোমাকে দেখার পর উদভ্রান্ত পাখিদের সুরেলা কিচির-মিচির শুনি না। তোমাকে দেখার পর ঝর্নার জল আর গায়ে মাখি না। তোমাকে দেখার পর দুদণ্ড শান্তি পেতে বনলতা সেনের কাছেও যাই না। তোমাকে দেখার পর হৃদয় পটে ভূমিকম্প হয় কেন তা জানি না। তোমাকে দেখার পর ভোরের শুভ্রতার মাঝে নির্লোভ আশ্রয়ও খুজিনা। তোমাকে দেখার পর শুধু তোমাকে দেখার পর প্রশ্ন করি মন চুরি হয়েছে কিনা? আমি আজো বুঝিনা। -------বারিদ কান্তার ০৪-১০-২০১৪ইং

বারিদ কান্তার (মেঘারণ্য): আজব বাঙ্গালীর অদ্ভুত খেয়াল সেজদা ঠুকিবে তুই মরিলে

বারিদ কান্তার (মেঘারণ্য): আজব বাঙ্গালীর অদ্ভুত খেয়াল সেজদা ঠুকিবে তুই মরিলে : চাঁদ নাকি হয়েছে পবিত্র দেখে তোর মুখ আর কলংক নাকি খুঁজে আতেল কবি রাত্রিতে নিশ্চুপ। আস্তিকতার ভুল বিশ্বাসে তুই যে কোটি হৃদয়ে তুই ছাড়া যে জ...

আজব বাঙ্গালীর অদ্ভুত খেয়াল সেজদা ঠুকিবে তুই মরিলে

চাঁদ নাকি হয়েছে পবিত্র দেখে তোর মুখ আর কলংক নাকি খুঁজে আতেল কবি রাত্রিতে নিশ্চুপ। আস্তিকতার ভুল বিশ্বাসে তুই যে কোটি হৃদয়ে তুই ছাড়া যে জাতি অচল কেন যাবি তুই অসময়ে। মূর্খ জ্ঞানীর পকেট ভারী তুই সাধু তাই প্রমানে আজব বাঙ্গালীর অদ্ভুত খেয়াল সেজদা ঠুকিবে তুই মরিলে। বারিদ কান্তার ১৮-০৯-২০১৪

প্রবঞ্চনার উপাখ্যান-৩

জন্মদিনের শুভেচ্ছা তোমায়! বাঙ্গালী শোকের অশ্রু বর্ষণ শুভেচ্ছা তোমার জন্মদিনে! রক্ত ক্ষত হৃদ আমার শুভেচ্ছা তোমার জন্মদিনে! কোটি হৃদয়ে হাহাকার শুভেচ্ছা তোমার জন্মদিনে! জাতি বিভক্ত ব্যাক্তি স্বার্থে শুভেচ্ছা তোমার জন্মদিনে! উল্লাসের হর্স ধ্বনি শুভেচ্ছা তোমার জন্মদিনে! ব্যাক্তি যখন রাষ্ট্রের পরিচয় তখন তুমি করো পাগলামি তাই আবারো শুভেচ্ছা তোমার জন্মদিনে! বারিদ কান্তার ১৫-০৮-২০১৪

গুণীর জন্ম লাঞ্ছনার আর অপবাদের

গুণীর জন্ম কেন হলো এমন এক দেশে? যে দেশে তার পরিচয়টা লাঞ্ছনার আর অপবাদের। এ দেশে মুক্তিযোদ্ধারা আজো বেঁচে আছে জীবন কে করে ফেরি, ভিক্ষার থালা হাতে পরে আছে পথে দেখো কতো বিরঙ্গনা নারী, অথবা করছে দেখো কার বাসায় ঝি-চাকরের চাকুরী। দেশের জন্যে স্বর্ণ আর সুনাম জয়ী আদর্শ তোমরা আর কখনো দেশের হয়ে খেলতে নামবে কিনা জানিনা, কেনইবা খেলতে নামবে বলো? বদৌলতে তোমরা যদি পাও অসভ্য লাঠিপেটা। শুনেছি দুর্জন বিদ্বান হলেও পরিতেজ্য কিন্তু অভাগা দেশটার ক্ষেত্রে উল্টোটাই যেন সত্য। মূর্খ জাতি বুঝে না বুঝে জুড়ে দেয় বিতর্ক শিক্ষিত জনে সম্মান জানাতে কেন তুমি এতোখানি বিব্রত ও সতর্ক? ধর্ম ধোঁয়ার দোষে বিভক্ত জাতি রক্তাক্তও হয় মাঝে মাঝে সোনার মাটি। সুইস ব্যাংকে টাকা জমানোর নিয়তেই কেন করছো রাজনীতি? এমন যদি হয় জাতি হিসাবে তোমার কি পরিচয় বাকি রয়? ভেবে দেখবার অনুরোধ করি সবিনয় অনুরোধেই যদি কিছু হয়। ০১-০৮-২০১৪      

"প্রবঞ্চনার উপাখ্যান-২"

বিশ্ব বিধাতা মুলা ঝুলিয়ে করছে মুণ্ড নিপাত খড়গের উদ্ধত বাণীতে বিশ্ববাসীরাও অবাক। নিষ্পাপের আহাজারিতে বধির বিশ্ব নিশ্চুপ চেয়ে রয়। শিশু হৃদয়ে কষ্ট মাখা গান পবিত্র ভুমি কেন রক্তাক্ত শ্মশান? বৃদ্ধার মাতম পৌঁছায়নি আজো তাদের কানে, আর পৌঁছালেইবা কি হতো? ষাট বছরের অস্তিত্ব লড়াই এত সহজেই কি মিটবে সকল ক্ষত? ধিক তোমাদের অপরাধী তুমি মোড়লীও বাণী তোমার কেনইবা আমরা শুনি?  বারিদ কান্তার ০১-০৮-২০১৪

প্রবঞ্চনার উপাখ্যান

ঈদ উৎসব আমেজে সরগরম পাড়া, মহল্লা, গ্রাম, নগর ও বন্দর শ্রাবণের শেষে ভাদ্রের তির্যক সূর্য কিরণে তপ্ত নদী, মাঠ, ঘাঁট ও প্রহর। সাত রঙা বাহারি পোশাকে কচি প্রানে আনন্দের হুল্লোড়। পথে পথে কতো মত, কতো সুর, কতো গীত বড়ই মধুময় এরই মাঝে নিতান্তই জীবিকার ছলে খুঁজছে দেখো কতইনা আশ্রয়। জীবিকার অন্ন খুঁজে হন্যে হয়ে পথে আজ তারা এমনও দিনে আপন জনের মায়া ভুলে তকদিরের ঘানি ছুটিয়ে বেড়ায় শহুরে রাজপথে। সৃষ্টির অভিশাপে তাদের প্রতিদিনই যায় সমান বিশেষ দিনের প্রবঞ্চনা হয়ে রয় শুধুই স্বপ্নময় উপাখ্যান। বারিদ কান্তার ২৯/০৭/২০১৪

"নিষ্কলঙ্ক আস্তিন"

মনে পড়ে যায় শীতল যুদ্ধে পরাজিত সৈনিকের অন্তরে ধ্বংসযজ্ঞের কথা। মনে পড়ে যায় আমাবস্যার কালো অন্ধকারে পতিত নগরীর কথা। যেখানে ছিল না প্রেমের আবাস, চলাচল ছিল না ভালোবাসার। চলাচল ছিল সেখানে বারবনিতার কামার্ত আকর্ষণ ও তাদের উন্মুক্ত আগ্রাসী আহবান। আর্তনাদ করে প্রেমিক যুগল অভিশপ্ত এই নগরে পূর্ণিমার আলোর বরষায় তারা ভিজেছিল কবে? ভাবে আর মূর্ছা যায় নির্লিপ্ত হৃদ-অধরে। ভীত প্রেমিকা আঁকড়ে ধরে আর খুঁজে ফিরে প্রেমিকের নিষ্কলঙ্ক আস্তিন। নিষ্ঠুর পৃথিবী আজো হিংসায় মত্ত, বাদ সাধে আর কূট-কৌশল করে ফাটল ধরাতে আস্থার। ০৫-০১-২০১৪

সব কিছু প্রাইভেট সেক্টরে চলে গেছে

সব কিছু প্রাইভেট সেক্টরে চলে গেছে। একটি স্বাধীন দেশের মানুষের মৌলিক চাহিদার প্রায় সবকয়টিই পূরণ করছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সমূহ। এখনো পর্যন্ত আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারিনি, তার উপর আছে ফড়িয়াদের লালসার কারনে মুল্যের আকাশচুম্বি আহরন। এখানে আমারা রাষ্ট্রযন্ত্রের কোন প্রভাব দেখতে পাওয়া যায় না। এখনো আমার দেখতে পাই শুধু শীত আসলে শীত বস্র বিতরনের হিড়িক। আর প্রাশ্চাত্ত্য সংস্কৃতি আর প্রতিবেশি দেশের দরুন দেশিয় বস্র শিল্পের অবস্থা তো আরও করুন। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রভাব সামান্যই। আর বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সমুহ আছে তাদের মুনাফা নিয়ে। আর বাসস্থান, সেটা কবেই সরকারের করায়ত্তের বাহিরে চলে গিয়েছে। শহরমুখি মানুষের আশ্রয় হচ্ছে ভাড়া বাসা, যা কিনা কিছু ব্যেক্তি পর্যায়ে ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে নিয়ন্ত্রিত। শিক্ষা! দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার অবস্থা তো আরও করুন, এখন তো গলিতে গলিতে গজে উঠেছে প্রাইমারি স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যলয় পর্যন্ত, আর এসব প্রতিষ্ঠানে কি শিখানো হয় তা বলাই বাহুল্য। এসব এক-একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এক-একাটি শিল্প প্রতিষ্ঠান যেন। এসব প্রতিষ্ঠানে সুযোগ পায় সমাজের উচ্চবৃত্তের ...

সহজ ভাষায় বাংলা কবিতার ছন্দ শিক্ষা: সহজ ভাষায় বাংলা কবিতার ছন্দ শিক্ষা

সহজ ভাষায় বাংলা কবিতার ছন্দ শিক্ষা: সহজ ভাষায় বাংলা কবিতার ছন্দ শিক্ষা :         কবিতা লেখা আজ কাল মানুষের কাছে একটা খেলা হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেখা যাচ্ছে, কেউ একটু লেখা পড়া শিখেই মনের মাধুরী মিশিয়ে কবিতা লেখা শুরু...

"ইচ্ছে করে"

ঘোলা জলে কচুরিপানার মতো ভাসতে আমার ইচ্ছা করে। রাজহাঁসের গর্বিত বিচরন আমায় মুগ্ধ করে। চপলা মাছরাঙার মত ইচ্ছা করে চুপটি করে বসে থাকি বিস্ময় সন্ধানে। আর ছোটাছুটি করতে ইচ্ছা করে পুঁটি মাছের মতন। ইচ্ছা করে ডানা ঝাপটিয়ে দাপিয়ে বেড়াতে। রাঙ্গা ভোরের শালিক হয়ে সকালটা রাঙ্গাতে। বউ কথা কউ পাখির মত গান শুনাতে। ইচ্ছে করে ফিঙ্গের লেজে শৈশব আটকাতে। সমুদ্রের লোনা জলে সাতার দিতে ইচ্ছা করে। গাংচিল এর পীঠে চড়ে সমুদ্র দিগন্ত দেখার ইচ্ছা করে। লাল কাঁকড়ার ছান্দিক গৃহে ডুব বার বার দেখতে ইচ্ছে করে ইচ্ছে করে জেলে-মাঝির দেরাজ গলায় গাওয়া গানটি শুনতে। ০৩-০১-২০১৪