সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

সব কিছু প্রাইভেট সেক্টরে চলে গেছে

সব কিছু প্রাইভেট সেক্টরে চলে গেছে। একটি স্বাধীন দেশের মানুষের মৌলিক চাহিদার প্রায় সবকয়টিই পূরণ করছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সমূহ।
এখনো পর্যন্ত আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারিনি, তার উপর আছে ফড়িয়াদের লালসার কারনে মুল্যের আকাশচুম্বি আহরন। এখানে আমারা রাষ্ট্রযন্ত্রের কোন প্রভাব দেখতে পাওয়া যায় না।
এখনো আমার দেখতে পাই শুধু শীত আসলে শীত বস্র বিতরনের হিড়িক। আর প্রাশ্চাত্ত্য সংস্কৃতি আর প্রতিবেশি দেশের দরুন দেশিয় বস্র শিল্পের অবস্থা তো আরও করুন। এক্ষেত্রে রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রভাব সামান্যই। আর বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সমুহ আছে তাদের মুনাফা নিয়ে।
আর বাসস্থান, সেটা কবেই সরকারের করায়ত্তের বাহিরে চলে গিয়েছে। শহরমুখি মানুষের আশ্রয় হচ্ছে ভাড়া বাসা, যা কিনা কিছু ব্যেক্তি পর্যায়ে ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে নিয়ন্ত্রিত।
শিক্ষা! দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার অবস্থা তো আরও করুন, এখন তো গলিতে গলিতে গজে উঠেছে প্রাইমারি স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যলয় পর্যন্ত, আর এসব প্রতিষ্ঠানে কি শিখানো হয় তা বলাই বাহুল্য। এসব এক-একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এক-একাটি শিল্প প্রতিষ্ঠান যেন। এসব প্রতিষ্ঠানে সুযোগ পায় সমাজের উচ্চবৃত্তের কিছু মানুষ, এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার মান নিয়েও আঙ্গুল তুলা যায়। রাষ্ট্রযন্ত্র এক্ষেত্রে বড়ই উদাসীন।
চিকিৎসা ব্যবস্থায় ও একই অবস্থা। ডাক্তাররা সরকারি হাঁসপাতালে সময় ব্যয় এর চেয়ে প্রাইভেট ক্লিনিক এ সময় ব্যয় করে বেশি, আর তাদের আচরন কসাই এর মত।
এক্ষেত্রেও রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যর্থ।

সরকারও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পরিনত হতে যাচ্ছে। যে হারে ব্যবসায়ীরা রাজনীতিতে অনুপ্রবেশ করছে তাতে প্রকৃত রাজনীতিবিদের ভাত নেই বললেই চলে।

রাষ্ট্রযন্ত্র যদি সাধারন মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ করতে ব্যর্থ হয় তবে সাধারন মানুষ কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে সেটাই এখন দেখার বিষয়।।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আজব বাঙ্গালীর অদ্ভুত খেয়াল সেজদা ঠুকিবে তুই মরিলে

চাঁদ নাকি হয়েছে পবিত্র দেখে তোর মুখ আর কলংক নাকি খুঁজে আতেল কবি রাত্রিতে নিশ্চুপ। আস্তিকতার ভুল বিশ্বাসে তুই যে কোটি হৃদয়ে তুই ছাড়া যে জাতি অচল কেন যাবি তুই অসময়ে। মূর্খ জ্ঞানীর পকেট ভারী তুই সাধু তাই প্রমানে আজব বাঙ্গালীর অদ্ভুত খেয়াল সেজদা ঠুকিবে তুই মরিলে। বারিদ কান্তার ১৮-০৯-২০১৪

আমাদের শঙ্কার জায়গাটায় আপনারা দাড়িয়ে একটু চিন্তা করুন।

দেশের রাজনীতিবিদদের কাছে একটা অনুরোধ আপনারা আলাপ আলোচনা করে যত সমস্যা আছে তা সমাধান করুন দয়া করে। আপনারা আমাদেরকে আর অনিশ্চয়তার দিকে নিক্ষেপ করবেন না। আমরা প্রতি ৫ বছর অন্তর অন্তর কেন এই অনিশ্চয়তার মুখে পরবো? স্বাধীনতার ৪০ বছর পরও কেন আমাদের একটি অনিশ্চয়তায় রাতের ঘুম হারাম হবে? একটু করে শুধু সাধারন জনগনের কথা চিন্তা করুন। আমারা চিন্তিত নির্বাচনকালীন, নির্বাচন পূর্ব ও পরে কি হবে তা অনুমান করে। আমাদের এই শঙ্কার জায়গাটায় আপনারা দাড়িয়ে চিন্তা করুন......প্লিজ......

বৃষ্টিময় রজনী

বৃষ্টিময় রজনী তুমি এলে সজনী নিয়ে এলে শুভ্রতা কল্যানে ধরণি চলে গেলে অসময়ে মনো ব্যাথা বুঝনি। বৃষ্টিময় রজনী। তারিখঃ ০৪-০৯-২০১৩