সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

সংসার

যৌথ অভিমানের পাল্লা ভারী হওয়ার পরেও পরষ্পরের দিকে তাকিয়ে সুখস্মৃতি রোমন্থন করে বাকী জীবন কাটিয়ে দেবার নাম সংসার। যৌথ অভিযোগের পরিমান পাহাড় সমান হওয়ার পরেও পরষ্পরের ভুলগুলোকে ফুল ভেবে প্রতিদিন তার পরিচর্যা করে বাকী জীবন কাটিয়ে দেবার নাম সংসার। যৌথ অবিশ্বাসের গভীর ঘন আশংকার মেঘ জমে জমে যদি তুমুল ঝড় ওঠে পরষ্পরের সহানুভূতির আবেগ আর মমতাকে আশ্রয় করে ঐসব তুমুল ঝড়ের দিনগুলোতে আস্থার ভেলায় ভাসতে পারার নামই সংসার। বারিদ কান্তার ০১/০৮/২০১৮

মার বদি আলম

বাজার খাইসে কর্পোরেট আর মনন খাইসে মিডিয়া গুটি ধরাইয়া জোয়ানের হাতে ঘুম পাড়াইসো মাথা গুনিয়া। গনতন্ত্রের মন্ত্র শিখাইসো শিখাইসো যোগব্যাম বিপ্লবের কথায় ডরায় জাতি তাই আস্থার নাম এখানে "মঘাশ্যাম"। জাতি বেহুঁশ ফুঁকিয়ে হতাশা হাতাইয়া লইতেসে সব ফড়িয়া কম্পিটিশন শেষ করিতে দেখো বাবা বদি কত্ত মরিয়া। ২৫/০৫/২০১৮

ইঞ্জেকশন

অস্থিরতা নামক ইঞ্জেকশন পুশ করে দিয়ে সময় তামাশা দেখছে আর একপা-দুপা করে এগিয়ে চলছে অন্ধকারের দিকে। কখনো হয়তো ভোর হবেনা আর, সকালের শুভ্রতা ছোঁবে না কোন সবুজ পাতার চিবুক। মুখরিত কোলাহল গুলো মিলাবে শূন্যতায় সুনসান নীরবতা জমিয়ে আসর বসাবে এখানে। মাত্রাতিরিক্ত অস্থিরতার নেশায় বুদ হয়ে থাকা শহরটা ধ্বংসযজ্ঞ আর আবর্জনার স্তুপে পরিণত হলে তবেই হয়তো ইঞ্জেকশনের কার্যকারীতা নিঃশেষ হবে। ১৫/০৪/২০১৮

প্লাবন

বাড়াবাড়ি রকমের অস্থিরতা নিয়ে জাগছে প্রতিটা ভোর। দুপুরটা পোড়াচ্ছে ভীষণ, অতিকায় বিভীষিকা নিয়ে ভাতঘুম হারাম করে। সন্ধ্যেটা প্রবল আক্রোশে কপালে বিপ্লবের ব্যান্ড পরে প্রতিবাদে বের হলেও অজানা নেশায় বুদ হয়ে ঢুকে যাচ্ছে রাতের গহ্বরে। অন্ধ, বোবাকালা, বুদ্ধিহীন দলপতিরা সুখ-সমৃদ্ধির সুর তুলছেন নিজস্ব সক্রিয়তায়। মৃত্যুপুরীতে আছো, বেশী ভেবে আর কি হবে তোমার চারপাশে শুধুই আশংকার ঘোর। বসন্ত নিয়ে আসে আগুন, ছারখার ছাই-ভষ্ম। বৈশাখ জুড়ে শুরু হোক আত্মাহুতির প্লাবন।

একজন রমা চৌধুরী

              "এই তোমরা খেয়ে যাবে কিন্তু                 না খেয়ে গেলে মাইর দিবো" কথাগুলো বলছিলেন একজন মা "রমা চৌধুরী"। উনার অসুস্থতার কথা শুনে মানবিক বন্ধু সুজন আর অনিককে সঙ্গে নিয়ে আমরা গিয়েছিলাম উনাকে একনজর দেখতে। তিনি চট্টগ্রাম ডায়বেটিকস হাঁসপাতালে গত ১১ই ডিসেম্বর থেকে ভর্তি আছেন ডায়বেটিকস, পাকস্থলীতে পাথর সহ নানা শারীরিক সমস্যা নিয়ে। বীরাঙ্গনা রমা চৌধুরী যার জন্ম ১৯৪১ সালে বোয়ালখালী পোপাদিয়া গ্রামে। ১৯৬১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। বলা হয়ে থাকে দক্ষিণ চট্টগ্রামের প্রথম নারী স্নাতকোত্তর এই রমা চৌধুরী।   আমরা অনেকে রমা চৌধুরী সম্পর্কে পড়েছি, শুনেছি আবার অনেকে নাও জেনে থাকতে পারি, কিন্তু কয়জনে এই কিংবদন্তীর সরাসরি সাক্ষাৎ পেয়েছেন? হাতে গোনা খুব অল্প সংখ্যাক মানুষের সৌভাগ্য হয়েছে তার সাক্ষাৎ পাওয়ার তার মধ্যে আমি একজন পরম সৌভাগ্যবান যার সান্নিধ্য পেয়েছি, স্পর্শ পেয়েছি, আবেগমাখা বকুনি খেয়েছি, আশীর্বাদ ...

দূষনের বনায়ন।

আমি একটা চারা রোপণ করেছি মাটিতে নয় টাকায়। আর আমি তাতে পানি বদলে দেই পয়সা, সারের বদলে দেই কিছু তোষামোদের কম্পোষ্ট আর এভাবেই দেখতে দেখতে চারাগাছটি বড় হতে হতে মহীরুহ আকার ধারণ কোরলো এবং কিছুদিন পর এমন গাছেদের পরিমাণ বাড়তে বাড়তে আস্ত একটা জঙ্গলে পরিনত হোল। আমরা আবার বেশ পরিবেশ সচেতন কিনা। তাই এমন বৃক্ষ রোপণেই আমাদের মনোযোগ বেশী। ২৫/১১/২০১৭ইং

উদ্বাস্তু

জাতি, ধর্ম, বর্ণ ও গোত্রের আবেদন রাখতে গিয়ে পৃথিবীটা দেশ নামক কাঁটাতারে বিভক্ত। তবুও, সময়ে সময়ে উন্মোচিত হয় নিষ্পেষিতের হাহাকার। কেন? শান্তি, ঐক্য, সৌহার্দ্য ও ভালবাসার বাড়তি বৈ কমতি নেই এখানে। কিন্তু, বৃহৎ মঞ্চে রাজনৈতিক নাটিকার কুশীলবরা থাকে নির্লিপ্ত, নির্লজ্জ আর অট্টহাসিতে লুটিয়ে পড়ে আড়ালে। কেন? আমজনতা এই "কেন" এর উত্তর খুঁজতে খুঁজতে কালের বিভৎসতা পেছনে ফেলে স্বজনের লাশ মাড়িয়ে হয় দেশান্তরী। ১৫/০৯/২০১৭