সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

অক্টোবর, ২০১৩ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

দেশ কি নিয়ে বাঁচে?

শিউলি ফোঁটা ভোঁরে শুনি বোমার চিৎকার কাকের আহাজারি আর ছুটোছুটি হল্লায়। আর্তনাদে উঠবে জেগে ঘুমন্ত শহর আর বারুদের ধোঁয়ায় বিষাক্ত হবে ভোরের শিশির। দিনমজুরের দিনাতিপাত কেমন ওরা কি বুঝে? সবাই থাকে যদি নিজেকে নিয়ে দেশ কি নিয়ে বাঁচে?  তারিখঃ ২৭-১০-২০১৩ 

এসো করি সুন্দরের চাষ

সুখ পায়রা উড়াল দিল মনের উঠান থেকে, শান্তির দূর্বাদল পিষ্ট হয় কুটিলতার ছলে। সবুজের অরণ্য কম্পিত হয় ছলনার মায়াজালে। রিক্ত হাতে বৃথা আস্ফালন অন্তরে করে বাস, যান্ত্রিকতা আর মলিনতা ঝেড়ে এসো করি সুন্দরের চাষ।। তারিখঃ ২৫-১০-২০১৩

চির সবুজ

জীবনের যত রঙ, আছে যত হা-পিত্তেশ, ওড়াও রঙ নীল আকাশে, মিটাও হতাশা ঝোড় বাতাসে। তুলে ধরে রঙ্গিন অধ্যায় রাঙ্গিয়ে দাও ধরণীকে। মুছে ফেল ফ্যাঁকাসে স্মৃতি, মুক্ত কর আপনাকে। জীর্ণতাকে লাঠিপেটা কর আর গোঁড়ামিকে কর ঘরছাড়া। পূজা কর তুমি সত্য ও ন্যায়ের, জিকির তুলো আদর্শের। আগামী তোমাকে জানাবে স্যালুট, চির সবুজ হবে দিন তোমার। তারিখঃ২৩-০৫-২০০৭

শুদ্ধ হাওয়া

সৈকতের লোনা হাওয়ায় হারিয়েছি দুজন চাওয়া-পাওয়ায়। দিগন্ত জুড়ে তোমায় অ্যাঁকে রঙ্গিন হবো আমি, মাতব দুজন উন্মাদনায় নিঃস্ব করে সবই। বাতাসে মোরা ভাসিয়ে দিব উন্মাদ ভালবাসার তরী সৌরভ যদি এতোটুকু ছড়ায়, ছড়াক তাতে গর্ভিত হবে ধরণী। বর্জিত হবে মেকি ও কৃত্রিম যান্ত্রিকতা, মাতবে আগামি নিয়ে প্রাকৃতিক শুদ্ধতা। তারিখঃ ১৩-০৫-২০০৬

ঠেকের রাজত্বে অসহায় বীর-বল

সব ঠেক বাজের দল। ঠেকের রাজত্বে অসহায় বীর-বল ১। গরু আনতে পুলিশ মামা দেয় ঠেক। ২। বাসে, লঞ্চে, ট্রেনে বাড়ি যাবেন সেখানেও ঠেক দিয়া বাড়তি ভাড়া আদায়। ৩। আর রাজনীতির সু-পুত্ররা তো আছেই ১৪-১০-২০১৩

কাঙ্গাল দেশের বাঙ্গাল

কাঙ্গাল দেশের বাঙ্গাল মোরা সব কিছুতেই স্বার্থ চাই, মায়ের ভালবাসায়ও স্বার্থ খুঁজি, এমন দেশের জুড়ি নাই।। ০৪-১০-২০১৩

প্রকৃতি পরিবার প্রনয়।

প্রকৃতি আমায় আলিঙ্গন কর মুছে যাক জড়তা, স্নেহের পরশ বুলিয়ে দাও পিতৃ স্নেহের বিশালতা। প্রকৃতি আমায় আলিঙ্গন কর ছুঁয়ে যাক শুভ্রতা, মায়ায় ভরা আঁচল জুড়ে মায়েরই মমতা। প্রকৃতি আমায় আলিঙ্গন কর উবে যাক মলিনতা, ভগ্নী তোমার লালিত্যে ধরণি পেল পুষ্পের সজীবতা। প্রকৃতি আমায় আলিঙ্গন কর লেগে থাক মাদকতা, ভাতৃ হৃদে লুকায়িত প্রেম শুদ্ধ পেলবতা। প্রকৃতি আমায় আলিঙ্গন কর ভেসে যাক কুটিলতা, প্রেম সুন্দর নারী রুপে করি তাহারই আরাধনা। তারিখঃ ১৮-১১-২০০৭

রক্তচোষা

এনার্জি এশিয়া, মাথার উপর বসিয়া, করিতেছে গ্রাস তেল, কয়লা ও গ্যাস। করবি তোরা হায়! হায়! দেখবি যখন রক্তচোষারা নিয়েছে চুষে তোর রক্ত। হয়ে পড়বি অথর্ব তুই, পারবি না নিতে শ্বাস। তারাই তখন বগল বাজিয়ে গর্ব করে মিটাবে তাদের মনের আশ। নামটি তোদের তৃতীয় বিশ্ব, তাইতো হয়েছে দোষ। মিনিটে মিনিটে খবরদারী, মাথা তুললেই নাখোশ। রক্তে তোদের হুজুর! হুজুর! কাঁসি দিতেও খাওয়াস খেজুর। কিসের তরে রইলি বেঁচে, অস্তিত্ব তোর কিসে? এভাবে যদি যায় চলে দিন, বড় বড় কথা বাদ দিন। হুকুম বাজদের পায়ে পড়ে অন্য কোন কাজ নিন। তারিখঃ ১৭-১০-২০০৮

বাংলাদেশ (অষ্টম গান)

যে দেশের ধূলিকণা আমার রক্তে যে দেশের আলো-বাতাস আমার বক্ষে সে দেশ আমার প্রিয় বাংলাদেশ। এখানে শরৎ খেলে কাশ ফুলে ফুলে বসন্তও আসে যায় কৌকিলের ডাক শুনে। কুয়াশার চাঁদরে মোড়ানো যে দেশ সে দেশ আমার প্রিয় বাংলাদেশ। এখানে রাখাল হারায় বাঁশির সুরে সুরে মধু মাস হাসে খেলে অম্রমুকুলে। পল্লীবধূ কলসি কাঁখে যায় যে দেশে সে দেশ আমারা প্রিয় বাংলাদেশ। বৃষ্টি নাচে নূপুর পায়ে ঘন বরষায় হেমন্তটাও পাতায় পাতায় মিষ্টি রোদ ছড়ায়। চোখ জুড়ানো সবুজ দিগন্তে মন মাতানো যে দেশ সে দেশ আমার প্রিয় বাংলাদেশ। তারিখঃ ১৬-০৭-২০০৯