সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ভাবনার মুখোমুখি

গৌধুলির আভা দিগন্তে বিলীন হল সোনালী রঙ ছড়াতে ছড়াতে। বিস্তীর্ণ সবুজের এপারে দাড়িয়ে পথিক সূর্যাস্ত দেখে ভাবনার শীষে দোল খায়,  আর ভাবে। ভাবতে বসে সগৌরভে নিজের সৌন্দর্য জাহির কারা ফুল সৌরভ ছড়ানো ভুলে গিয়ে। পাখিরাও নীরব, ভাবতে বসে সেও কেন এই কিচির মিচির সুরেলা স্বরে ডাকাডাকি? লজ্জাবতীর পাতা চুইয়ে পড়তে থাকা সচ্ছ শিশির বিন্দু, সেও ভাবে কেনইবা এখানে এলাম, আবার কেনইবা ঝড়ে পড়া, চলে যাওয়া? অবিনশ্বর হওয়ার মন্ত্র নিয়ে যে অশথ বৃক্ষটি মাটি ফুড়ে নিজের অস্তিত্ব জানান দেয় এমন ভাবনা তাকেও তাড়িত করে। কেন এই জীবন? কেনইবা এত সংগ্রাম? জীবন সত্য, জন্ম, বেঁচে থাকা? নাকি প্রস্থান, মৃত্যু কিংবা চলে যাওয়া? ০২-০২-২০১৫ 

অভিনয়

আমরা ভুলেই বসে আছি সুসজ্জিত বাহিনীর প্যাঁদানির কথা। ভুলে গেছি সে দিনগুলোর কথা যে দিনগুলোতে ছিল বারন প্রান খুলে কথা বলাতে, ছিল নিষেধ তোমার আমার কাছে আসাতে। গলার কাঁটা হয়ে অসস্থি ছড়াতো প্রতিটি হৃদয়ে। কারাগারেই যেন বন্ধি আছি এমন মনে হত, পোড়া ঘায়ে আঘাত লেগেছে জেগেছে পুরনো ক্ষত, এমন অবস্থায় সুস্থ থাকার অভিনয়টা বন্ধ করো আপাতত। ১৯-০১-২০১৫

রাজপথে হঠাৎ দেখা পথসুন্দরী

তোমার নেশা ধরা ডাগর চোখের প্রেমে পড়ি সকাল, দুপুর, সান্ধ্য। দীঘল চুলের আলতো পরশে আমার মায়াবী ধরণীটা ক্ষণিকেই যেন অন্ধ। প্রেমে পড়েছি তোমার হেঁটে চলায় ইচ্ছে করে পিছু নেই, অদম্য সাহসে আটকিয়ে পথ জিজ্ঞেস করি নামটি কি? প্রেমে পড়েছি তোমার চপল কথার ঢঙে ভাবনায় আছো সমস্ত দিবা-রাত্রি। আর কি কখনো পাবো দেখা রাজপথে হঠাৎ দেখা ওহে পথসুন্দরী!!! ২৮-১১-২০১৪

পরিবর্তিত নিয়তির রেখা এঁকেছেন কোন নিষ্ঠুর বিধাতাই

থমকে গেছি আমি, নিশ্চুপ হয়ে গেছো তুমি আমাকে কাছে পেলে কেন করোনা আগের মতো পাগলামি? থমকে গেছি আমি, বেশ বদলেও গেছো তুমি জীবনের ঘানী কাঁধে চাপায় ভুলেছি সব মনগড়া আতলামি। পরিবর্তন এসেছে আচরণে, পরিবর্তিত রুপ দেখি তোমারও ইচ্ছেগুলোর অকাল প্রয়ানে মাঝে মাঝে দীর্ঘশ্বাস মিলায় অন্তরেও। নিয়তির নিয়ম পরিবর্তনে, মনুষ্য মাঝেও আছে তাই তোমার আমার নিয়তির রেখা এঁকেছেন কোন নিষ্ঠুর বিধাতাই। ২৮-১১-২০১৪

বড্ড ভয় করে মাগো

ভয় হয় মাগো বড্ড ভয় করে তুই চলে গেলে একা থাকবো কি করে? বল কার আঁচলে মুখটি মুছে আদুরে থাপ্পড় খাবো? দুষ্টমী ভরা আবদারগুলো নিয়ে কার সামনে দাঁড়াবো? নানা অজুহাতে নিশি ভোর করে আসতাম যখন ঘরে আচ্ছা করে কান মলে দিয়েছিস শুধু, ভুলেই ব্যাস্ত হয়ে পড়তি পরক্ষনে। সামান্য অসুখেই চিন্তায় অস্থির মুখে তুলে দিয়েছিস খাবার বাহিরে গেলেও ঘণ্টায়, ঘণ্টায় খবর নিয়েছিস বারবার। তাই আজ তোর অসুখে বুকে কাপুনি ধরে ভাবি তুই চলে গেলে একা থাকবো কি করে? ১৯-১১-২০১৪

"মানব চরিত্র আর ভণ্ডামি দুটোই একে অপরের পরিপূরক"

মানুষ তুমি, তোমার মধ্যে কিছু ভাণ্ডামি তো থাকবেই! মনে তুমি লালন করো এক কথা আর প্রকাশ করো আরেক। সাক্ষাৎ হলেই হয় আবেগের উদগিরন আর আড়াল হলেই হয় নিষ্ক্রিয়। মানুষ তোমার পরিচয় ভণ্ডামিতেই! অগ্রজের অনৈতিক অধিকার খাটিয়ে করছো তুমি অনুজে বঞ্চিত। নশ্বর ধরণীর বুকে চরিত্র তোমার অভিশাপের বৈয়াম এ সঞ্চিত। ভণ্ডামি করো বলেই তো তুমি মানুষ! রিক্সায় চড়ে তুমি ভর্ত্সনা করো বড় রাস্তার প্রায় সবটুকু জুড়ে থাকা বড় বড় গাড়িগুলোর চালক কিংবা মালিককে। আবার সেই তুমিই তীব্র ভর্ত্সনায় গর্জে ওঠো রিক্সা চালকের উপর যখন তুমি চড়ে বেড়াও সু-বিশাল মোটরকার কিংবা বাসে। সাধু চরিত্রের আড়ালে গাও ভণ্ডামির গুনগান! সভা-সমাবেশ এ দরদের খৈ ফুটিয়ে করছো রাজনীতি। আবার দিনে-দুপুরেই চোখে ধুলা দাও এ কেমন ক্ষমতাপ্রীতি? বকধার্মিকের ভণ্ডামি সম্পর্কে আছে সবার জানা। ধর্মের সু-বিস্তৃত শুদ্ধতাকে কলঙ্কিত করছো তুমি আর করছো ব্যাক্তি মতবাদ এর প্রতিষ্ঠা। ধিক্কার তোমায় সরল প্রানের ধর্মভীরুতাকে কাজে লাগিয়ে ধর্মান্ধের কুসংস্কার প্রচারেই যার আস্থা। ভণ্ডামির আরও কতো রুপ আছে সবার অজানা! মজুতদারি করে করছো আয় মিশিয়ে খাদ্যে ভেজাল আর বিষাক...

"তোমাকে দেখার পর"

তোমাকে দেখার পর নিলাভ আকাশের সুদর্শনা রংধনু দেখি না। তোমাকে দেখার পর চঞ্চলা প্রজাপতির পিছে আর ছুটি না। তোমাকে দেখার পর বর্ণিল ফুলেদের তারিফ কিন্তু করি না। তোমাকে দেখার পর পড়ন্ত বেলায় গোধূলির ছবি আঁকি না। তোমাকে দেখার পর উদভ্রান্ত পাখিদের সুরেলা কিচির-মিচির শুনি না। তোমাকে দেখার পর ঝর্নার জল আর গায়ে মাখি না। তোমাকে দেখার পর দুদণ্ড শান্তি পেতে বনলতা সেনের কাছেও যাই না। তোমাকে দেখার পর হৃদয় পটে ভূমিকম্প হয় কেন তা জানি না। তোমাকে দেখার পর ভোরের শুভ্রতার মাঝে নির্লোভ আশ্রয়ও খুজিনা। তোমাকে দেখার পর শুধু তোমাকে দেখার পর প্রশ্ন করি মন চুরি হয়েছে কিনা? আমি আজো বুঝিনা। -------বারিদ কান্তার ০৪-১০-২০১৪ইং