সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

।।অ সভ্যতা।।

তুমি আর আমি মিলে জঘন্য একটা দুনিয়া বানাবো। পোষ মানতে থাকা এক একটা শহরকে আবর্জনার ভাগাড়ে সাজাবো। কুৎসিত কর্দমাক্ত অন্ধকারাচ্ছন্ন জনপদে মহাবিপদের শঙ্কা জাগাবো। শয়তানের সাথে সন্ধি করে মনুষ্য খুনে ভরিয়ে দিবো কদর্য নীল বিষ। অনাগতদের পথ রুদ্ধ করতে মেরু আর মরুতে পাহারায় বসে বাজাবো শিস। সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না ভুলে গিয়ে আপন স্বার্থে সব্বাইকে ব্যবহার শেষে ছুড়ে ফেলে দেবো অহর্নিশ। সভ্য হতে গিয়ে ভীরুতার আরাধনায় করবো না সমর্পণ। অসভ্যতা লালন করেই হবে অসাধ্য সাধন। ৪-১১-২০১৮

শহরের সব পথ গেছে কবরের দিকে।

শহরের সব পথ গেছে কবরের দিকে। মূর্খদের অযাচিত স্বপ্নের ফসল এই কিম্ভূতকিমাকার আড়ষ্টতা। তবুও মাঝে মাঝে বাতিঘর থেকে প্রত্যাশার পেন্ডুলাম দুলতে দেখা যায়। বিশ্বাসের পারদ শূন্যে নেমে গেলে আত্মাহুতির শপথ করে সম্পর্ক। নির্বিকার মূর্খরা অযাচিত স্বপ্নের চাষ করে যায় দিবারাত্রি। তবুও মাঝে মাঝে মননের টুংটাং শব্দে ঘুম ভাঙ্গে আস্থার।  এ শহর আত্মভোলাদের জন্যে নয় তাই নসীব দ্বারা পিষ্ট হয়ে পড়ে থাকে যত্রতত্র বেওয়ারিশ। সামিয়ানা টাঁনিয়ে মূর্খরা ধান্দার জিকির তুলে আর ভারী করে ইহজাগতিক আপনা কোষাগার। তবুও মাঝে মাঝে সময়ের সাথে তাল মেলানো পথিক বিপ্লবী শপথে দাড়িয়ে যায় নিজ তাগিদে। ১৭/০৮/২০১৮

ঝুম বৃষ্টি হলে

ঝুম বৃষ্টি হলে গুম হতে চাই চঞ্চলা প্রতিটি ফোঁটায়। ঝুম বৃষ্টি হলে লুটোপুটি খেতে চাই দুষ্টোমী মেশানো শৈশবের মায়ায়। ঝুম বৃষ্টি হলে লিখে দিতে চাই এক পুকুর জল থৈ থৈ উদাসীনতা। ঝুম বৃষ্টি হলে গলা মিলিয়ে গাই ভেজা পাখির গান সরিয়ে অস্থিরতা। ২২/০৭/২০১৮ 

সংসার

যৌথ অভিমানের পাল্লা ভারী হওয়ার পরেও পরষ্পরের দিকে তাকিয়ে সুখস্মৃতি রোমন্থন করে বাকী জীবন কাটিয়ে দেবার নাম সংসার। যৌথ অভিযোগের পরিমান পাহাড় সমান হওয়ার পরেও পরষ্পরের ভুলগুলোকে ফুল ভেবে প্রতিদিন তার পরিচর্যা করে বাকী জীবন কাটিয়ে দেবার নাম সংসার। যৌথ অবিশ্বাসের গভীর ঘন আশংকার মেঘ জমে জমে যদি তুমুল ঝড় ওঠে পরষ্পরের সহানুভূতির আবেগ আর মমতাকে আশ্রয় করে ঐসব তুমুল ঝড়ের দিনগুলোতে আস্থার ভেলায় ভাসতে পারার নামই সংসার। বারিদ কান্তার ০১/০৮/২০১৮

মার বদি আলম

বাজার খাইসে কর্পোরেট আর মনন খাইসে মিডিয়া গুটি ধরাইয়া জোয়ানের হাতে ঘুম পাড়াইসো মাথা গুনিয়া। গনতন্ত্রের মন্ত্র শিখাইসো শিখাইসো যোগব্যাম বিপ্লবের কথায় ডরায় জাতি তাই আস্থার নাম এখানে "মঘাশ্যাম"। জাতি বেহুঁশ ফুঁকিয়ে হতাশা হাতাইয়া লইতেসে সব ফড়িয়া কম্পিটিশন শেষ করিতে দেখো বাবা বদি কত্ত মরিয়া। ২৫/০৫/২০১৮

ইঞ্জেকশন

অস্থিরতা নামক ইঞ্জেকশন পুশ করে দিয়ে সময় তামাশা দেখছে আর একপা-দুপা করে এগিয়ে চলছে অন্ধকারের দিকে। কখনো হয়তো ভোর হবেনা আর, সকালের শুভ্রতা ছোঁবে না কোন সবুজ পাতার চিবুক। মুখরিত কোলাহল গুলো মিলাবে শূন্যতায় সুনসান নীরবতা জমিয়ে আসর বসাবে এখানে। মাত্রাতিরিক্ত অস্থিরতার নেশায় বুদ হয়ে থাকা শহরটা ধ্বংসযজ্ঞ আর আবর্জনার স্তুপে পরিণত হলে তবেই হয়তো ইঞ্জেকশনের কার্যকারীতা নিঃশেষ হবে। ১৫/০৪/২০১৮

প্লাবন

বাড়াবাড়ি রকমের অস্থিরতা নিয়ে জাগছে প্রতিটা ভোর। দুপুরটা পোড়াচ্ছে ভীষণ, অতিকায় বিভীষিকা নিয়ে ভাতঘুম হারাম করে। সন্ধ্যেটা প্রবল আক্রোশে কপালে বিপ্লবের ব্যান্ড পরে প্রতিবাদে বের হলেও অজানা নেশায় বুদ হয়ে ঢুকে যাচ্ছে রাতের গহ্বরে। অন্ধ, বোবাকালা, বুদ্ধিহীন দলপতিরা সুখ-সমৃদ্ধির সুর তুলছেন নিজস্ব সক্রিয়তায়। মৃত্যুপুরীতে আছো, বেশী ভেবে আর কি হবে তোমার চারপাশে শুধুই আশংকার ঘোর। বসন্ত নিয়ে আসে আগুন, ছারখার ছাই-ভষ্ম। বৈশাখ জুড়ে শুরু হোক আত্মাহুতির প্লাবন।