বারিদ কান্তার (মেঘারণ্য)

হিমপ্রবাহ বাতাস জুড়ে ঘোলা চোখ কচলাতে কচলাতে সকাল দরজা খুলে। ভোরের আগমনের অপেক্ষা না করে শুরু করে তার প্রাত্যহিক কর্মযজ্ঞ। এই যেমন, লাকড়ির চুলার কয়লা দিয়ে দাঁত মেজে কুয়...

আজ বৃষ্টি আসবে! লাখো মানুষের হৃদয় নিঙড়ানো আকুতি শুনে অবশ্যই বৃষ্টি আসবে। তাপদাহের তীব্রতায় হাঁসফাঁস করা কচি প্রানের প্রার্থনা বৃষ্টি তোমাকে আসতেই হবে। বৃষ্টি তুমি এসো কাল বৈশাখী রুপে প্রখর উষ্ণতা প্রশমনে। ঝড়ের বেগে হু হু করা পূবালী বাতাস হয়ে এসো প্রশান্তির আলিঙ্গনে! ১৭-০৪-২০১৫

বেঁচে থাকাটা মুখ্য মেনেছি কাজকে করেছি ধর্ম ভালবাসার রঙ ফিকে আমার কাছে আর প্রেম সেতো পুরোই নীল বর্ণ। বারিদ কান্তার ০৭-০৫-২০১৫

অনিয়মের উৎসব শহরজুড়ে নিয়মেরা ঝিমায় মাতাল হয়ে ঝাপসা আলোয় শহরটা দেখো কেমন বেসামাল। বেলি ফুলের গ্রানে আকুল নিয়ন আলোয় ধরণি চঞ্চল নিঃস্ব হতে হতে আবাধ্য রজনী আবেগে বেসামাল। বারিদ কান্তার ০৮-০৫-২০১৫

পাঁজি মন ব্যাস্ত সারাক্ষন অকর্ম সাধনায়  হতাশার জাল আপন মনে জীবনকে নিংড়ায়। শতজীবন নিঃস্ব হল খুঁজতে তারই ঠিকানা মানুষ হয়ে জন্ম নিয়েও মানুষ ভজলেনা। বৃথা তোমার মানব জনম বৃথা কর্মবেশ মেকি দুনিয়ার আরাধনায় জীবন করলে নিঃশেষ। বারিদ কান্তার ২২-০৫-২০১৫

সংকল্প হতে হবে তেজদীপ্ত পরিশ্রমও হওয়া চাই কঠোর শ্রম-সংকল্পের মধুর মিলনেই সমৃদ্ধ হবে সৌভাগ্যের জঠর।। বারিদ কান্তার ২৭-০৩-২০১৫

আবেগের পারদ যখন হিমালয় চুড়ায় আকাঙ্ক্ষিত স্বপ্নগুলো ডানা মেলতে চায়। এক পা, দু পা করে যখন সিন্দুর সীমানায় বিচলিত মুহূর্তের বাষ্প বিস্ফোরিত হতে চায়। বিজয়ের ডিঙ্গি নৌকা ভেড়াবে যখন উচ্ছ্বাসো মোহনায় শহর, নগর ও বন্দর সাজবে তখন উত্তপ্ত উন্মাদনায়। ১৮-০৩-২০১৫

প্রবঞ্চনার হোক জবাব হীনমন্যতা মুক্তি পাক। আত্মবিশ্বাসের পারদ কাঁপিয়ে মেলবোর্নের মাঠ বেড়াবো দাপিয়ে। কটাক্ষেরও হবে জবাব কেন ভাবখানা করো নিষ্পাপ? সমর্থের সবটুকু দেব পরাজয়ের গ্লানিতে ভাসাবো। পতাকা নাচাবো ঐ উঁচুতে অনুমান নয় মোটেই এ হল বিশ্বাস। ১৬-০৩-২০১৫

পিজিকের কেমিস্ট্রি তেমন ভালো নয়, উবে গেছে ফরমালিনের বিষে। বায়োলজিরও ভূগোল গেছে পাল্টে, ভুমিখেকো চণ্ডালদের অশরীরি কর্মদোষে। ইতিহাসের পাতায় পাতায় পৌরনীতির নাভিশ্বাস, আর কাটছে দিন নাগরিক হা-হুতাশে! ০৮-০৩-২০১৫ 

গৌধুলির আভা দিগন্তে বিলীন হল সোনালী রঙ ছড়াতে ছড়াতে। বিস্তীর্ণ সবুজের এপারে দাড়িয়ে পথিক সূর্যাস্ত দেখে ভাবনার শীষে দোল খায়,  আর ভাবে। ভাবতে বসে সগৌরভে নিজের সৌন্দর্য জাহির কারা ফুল সৌরভ ছড়ানো ভুলে গিয়ে। পাখিরাও নীরব, ভাবতে বসে সেও কেন এই কিচির মিচির সুরেলা স্বরে ডাকাডাকি? লজ্জাবতীর পাতা চুইয়ে পড়তে থাকা সচ্ছ শিশির বিন্দু, সেও ভাবে কেনইবা এখানে এলাম, আবার কেনইবা ঝড়ে পড়া, চলে যাওয়া? অবিনশ্বর হওয়ার মন্ত্র নিয়ে যে অশথ বৃক্ষটি মাটি ফুড়ে নিজের অস্তিত্ব জানান দেয় এমন ভাবনা তাকেও তাড়িত করে। কেন এই জীবন? কেনইবা এত সংগ্রাম? জীবন সত্য, জন্ম, বেঁচে থাকা? নাকি প্রস্থান, মৃত্যু কিংবা চলে যাওয়া? ০২-০২-২০১৫ 

আমরা ভুলেই বসে আছি সুসজ্জিত বাহিনীর প্যাঁদানির কথা। ভুলে গেছি সে দিনগুলোর কথা যে দিনগুলোতে ছিল বারন প্রান খুলে কথা বলাতে, ছিল নিষেধ তোমার আমার কাছে আসাতে। গলার কাঁটা হয়ে অসস্থি ছড়াতো প্রতিটি হৃদয়ে। কারাগারেই যেন বন্ধি আছি এমন মনে হত, পোড়া ঘায়ে আঘাত লেগেছে জেগেছে পুরনো ক্ষত, এমন অবস্থায় সুস্থ থাকার অভিনয়টা বন্ধ করো আপাতত। ১৯-০১-২০১৫