সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

অনুকবিতা

১/বড্ড বাড় বেড়েছে বন্য চাঁদের,
ফাগুনছোয়া বাতাসগুলোও গান বেধেছে চঞ্চলা তিমিরের!

২/পরজীবীর হা-হুতাশ
আদিখ্যেতা তুলে নাভিশ্বাস
মূর্খতার ইতিহাস।

৩/সময়ের সমবর্তনে পরিবর্তন থাকে পদক তালিকায়
কর্মেরা ফেটে পড়ে উল্লাসে
আর মিথ্যেরা পেছনে বসে মাথা চাপকায়।

৪/আজ দিনটি হয়ে উঠতে পারে অনন্য
অথবা হয়ে রবে নিতান্ত আটপৌরে।
অভূতপূর্ব একটা দিনের অপেক্ষায় প্রহর গুনছে প্রহেলিকা।

৫/তেজ নিয়ে জেগেছে ভোর
আড়মোড়া দিয়ে সরছে কুয়াশার চাদর
উদ্দীপ্ত আহবানে চঞ্চলা শহর।

৬/আমি পৌড়া প্রাগৈতিহাস, আমাকে বাঁচাতে কর সবুজের আরাধনা!

৭/বিচলিত ক্ষণের ঝড়া পাতারা পড়ে রইল অযত্নে
আর কিছু নাম না জানা পাখি উড়ে চলে গেলো বসন্তের গান গাইতে গাইতে।

৮/চাঁদ-সূরুজ তার নিজের অক্ষ বদলায়না জানি
কিন্তু মানুষ তার অক্ষ বদলাচ্ছে, বদলাতে বাধ্য হচ্ছে প্রতিনিয়ত
অথচ জ্যোতিষ শাস্ত্র বলে মানুষের জীবনে নাকি গ্রহাণুপুঞ্জের প্রভাব রয়েছে।

৯/বিক্রিত আর বিকৃত এর মাঝে ফারাক খুজছি!

১০/প্রাগৈতিহাসিক পলেস্তারা খসে পড়েছে ভেবে নিঃশ্বাস নিতে চেয়েছিলাম উত্তরাধুনিক সুর্বণ চরাচরে।
কংক্রিটের খাবিখাওয়া দেখে মূরছা গেলে
জল ছিটিয়ে জাগিয়ে সাহস যোগাতে কেউ রইলো না।

১১/বেলা শেষের সময়
ব্যাস্ততায় শ্রান্ত
হেলে পড়ে পশ্চিমাকাশে!

১২/ওষ্ঠাগত প্রাণ নিয়ে সংশয়ে হাসি
বিগলিত জড় হয়ে নরকে বাঁচি!

১৩/হে শহর তোমার জঞ্জালে ভরা বাহুল্য সরাও আমি রোদ পোহাবো!

১৪/রক্তের ঋণ শোধ করার আগেই তুমি ভুলে গেলে তাদের অবদানের কথা।
যাদের প্রানের বিনিময়ে তুমি পেয়েছ একটি স্বাধীন দেশ আর একটি পাতাকা।

১৫/পৌষের ভোর কুয়াশা ঢাকা, ললাটে পড়েছে লাল টিপ
রজকিনীর আশে আজো ফেলে রেখেছি নদীতে ছিপ।

১৬/মানুষের দলে নেই আমি আজ
আমিই হবো পশু।
মানুষ কেন পোড়াবে মানুষ
ভাব খানা করে যীশু।

১৭/গনতন্ত্র? গনতন্ত্র? মুখেই হয় খৈ সৃষ্ট
ফলাফলটা যা হয় তা স্বৈরাচারীক উচ্ছিষ্ট।

১৮/ নিত্য চলা সংগ্রাম
মুক্তি বুঝবেনা
করবে সন্ন্যাস সাধনা।

১৯/সাম্রাজ্যবাদ নামক বিষধর সাপও জানে বশীকরণ ব্যাকরণ
সাবধানে থাকিস প্রানের জন্মভূমি প্রিয় বাংলাদেশ।

২০/স্বাধীনতা তুমি শ্বেত কপোতের মুক্ত ডানায় বিশাল আকাশ,
স্বাধীনতা তুমি এই ফাগুনে কৃষ্ণচূড়ার রঙ্গে রাঙ্গিয়ে যাওয়া বাউলি বাতাস।।



মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

আজব বাঙ্গালীর অদ্ভুত খেয়াল সেজদা ঠুকিবে তুই মরিলে

চাঁদ নাকি হয়েছে পবিত্র দেখে তোর মুখ আর কলংক নাকি খুঁজে আতেল কবি রাত্রিতে নিশ্চুপ। আস্তিকতার ভুল বিশ্বাসে তুই যে কোটি হৃদয়ে তুই ছাড়া যে জাতি অচল কেন যাবি তুই অসময়ে। মূর্খ জ্ঞানীর পকেট ভারী তুই সাধু তাই প্রমানে আজব বাঙ্গালীর অদ্ভুত খেয়াল সেজদা ঠুকিবে তুই মরিলে। বারিদ কান্তার ১৮-০৯-২০১৪

আমাদের শঙ্কার জায়গাটায় আপনারা দাড়িয়ে একটু চিন্তা করুন।

দেশের রাজনীতিবিদদের কাছে একটা অনুরোধ আপনারা আলাপ আলোচনা করে যত সমস্যা আছে তা সমাধান করুন দয়া করে। আপনারা আমাদেরকে আর অনিশ্চয়তার দিকে নিক্ষেপ করবেন না। আমরা প্রতি ৫ বছর অন্তর অন্তর কেন এই অনিশ্চয়তার মুখে পরবো? স্বাধীনতার ৪০ বছর পরও কেন আমাদের একটি অনিশ্চয়তায় রাতের ঘুম হারাম হবে? একটু করে শুধু সাধারন জনগনের কথা চিন্তা করুন। আমারা চিন্তিত নির্বাচনকালীন, নির্বাচন পূর্ব ও পরে কি হবে তা অনুমান করে। আমাদের এই শঙ্কার জায়গাটায় আপনারা দাড়িয়ে চিন্তা করুন......প্লিজ......

বৃষ্টিময় রজনী

বৃষ্টিময় রজনী তুমি এলে সজনী নিয়ে এলে শুভ্রতা কল্যানে ধরণি চলে গেলে অসময়ে মনো ব্যাথা বুঝনি। বৃষ্টিময় রজনী। তারিখঃ ০৪-০৯-২০১৩