সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

Wave-2

সাম্প্রতিক পোস্টগুলি

করোনার ভয়ে মরি না

করোনার ভয়ে মরি না জাতি ঘরে থাকেনা গরীব চিল্লায় অনাহারে রাষ্ট্র খবর রাখেনা। করোনার ভয়ে মরি না সমাধানের পথ খুঁজি না অনাহারীর ঘরে হাহাকার বৃত্তবানরাও এগিয়ে আসেনা। করোনার ভয়ে মরি না সচেতন হয়ে চলি না ইশারা খুঁজি আল্লাহর সাবধান হওয়া লাগেনা। করোনার ভয়ে মরি না ক্ষমতা দেখাতে ভুলিনা লাঠিপেটায় বীরত্ব খুঁজি নিরুদ্বেগ জাতির তাড়না। করোনার ভয়ে মরি না দিনমজুরের কথা ভাবিনা মজুদ করেছি খাবার অঙ্গুলিনির্দেশ করতে ছাড়িনা। করোনার ভয়ে মরি না রাষ্ট্রে রাষ্ট্রে ছড়ালেও মানবিকতার নূন্যতমটুকু নিয়ে সকলে এগিয়ে আসেনা। করোনার ভয়ে মরি না মহামারী দেখেনি এসময় ইপিডেমিক, পেন্ডেমিক, লকডাউন শেখার আছে কতনা। করোনার ভয়ে মরি না নসিবের উপর দৃষ্টি পাপ-পূন্যের ব্যাল্যান্স হবে বিজ্ঞজনের ধারণা। ২৮/০৩/২০২০

ব্জ্রকণ্ঠে দৃপ্ত শপথ তুমুল আলোড়ন

"আন্দোলন" সে তো শিখিয়ে গেছেন মুজিব, চোখে ভাসে তর্জনী তোলা আহ্বানের ছবি। তাকে নিয়ে কত কত গান হয়েছে, গল্প-উপন্যাস, প্রবন্ধ হয়েছে শত শত কবিতা লিখেছেন কত কবি। বন্ধুর বিরুদ্ধ পরিবেশে মুজিব তুমি ছিলে অকপট,  কতই না সাবলীল আর শাণিত চিন্তার ধার। ব্জ্রকণ্ঠে দৃপ্ত শপথ তুমুল আলোড়ন। বাংলার মাঠ, পথ-প্রান্তর এক হয়ে সমান তালে জেগে উঠেছিলো রাঙাতে নতুন প্রভাত। মৃত্যু ভয়কে আলিঙ্গন করেছো আপোষে হওনি পিছপা তোমার দৃঢ় মানসিক শক্তিতে পেয়েছি পরম আরাধ্য স্বাধীনতা। শত প্রজন্মের আফসোস নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলো বিবেক অস্তিত্ব সংকটে থাকা পরিচয়টা ভাষা খুঁজে পেয়েছিলো আর প্রাণ ফিরে পেয়েছিলো আবেগ। নেতা হারিয়ে মেধা হারিয়ে দিশেহারা ছিলো গোটা বাংলা তোমার ইশারায় পথ খুঁজে পেয়েছিলো আর পেয়েছিলো জীবনের মানে এবং বেঁচে থাকার সংজ্ঞা। ১২/০৩/২০২০

আবিসা

অনুভূতি গুলো কেমন যেন যায় না বোঝা পুরোটা। আবেগের প্রকাশ তাই হয় না সম্পন্ন অব্যক্ত থেকে যায় আধেকটা। দূরে গেলে মরে যাই কাছে এলে ভুলে যাই নিঃশ্বাসে প্রাণ ফিরে পাই স্পর্শে এলে জ্ঞান হারাই। আকুতি গুলো পৌঁছায় না যথাস্থানে আমৃত্যু ক্রন্দনেও। ভুলগুলো মার্জনার খোঁজে হয় দিশেহারা কারণ সম্পর্কের আবেদন যায় না বোঝা অত সহজে। ফিরে পেলে আস্থা খুঁজে নেবো রাস্তা মুছে দেবো গ্লানি দায় আছে যতোখানি। ১৭/০৮/২০১৯

।।অ সভ্যতা।।

তুমি আর আমি মিলে জঘন্য একটা দুনিয়া বানাবো। পোষ মানতে থাকা এক একটা শহরকে আবর্জনার ভাগাড়ে সাজাবো। কুৎসিত কর্দমাক্ত অন্ধকারাচ্ছন্ন জনপদে মহাবিপদের শঙ্কা জাগাবো। শয়তানের সাথে সন্ধি করে মনুষ্য খুনে ভরিয়ে দিবো কদর্য নীল বিষ। অনাগতদের পথ রুদ্ধ করতে মেরু আর মরুতে পাহারায় বসে বাজাবো শিস। সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না ভুলে গিয়ে আপন স্বার্থে সব্বাইকে ব্যবহার শেষে ছুড়ে ফেলে দেবো অহর্নিশ। সভ্য হতে গিয়ে ভীরুতার আরাধনায় করবো না সমর্পণ। অসভ্যতা লালন করেই হবে অসাধ্য সাধন। ৪-১১-২০১৮

শহরের সব পথ গেছে কবরের দিকে।

শহরের সব পথ গেছে কবরের দিকে। মূর্খদের অযাচিত স্বপ্নের ফসল এই কিম্ভূতকিমাকার আড়ষ্টতা। তবুও মাঝে মাঝে বাতিঘর থেকে প্রত্যাশার পেন্ডুলাম দুলতে দেখা যায়। বিশ্বাসের পারদ শূন্যে নেমে গেলে আত্মাহুতির শপথ করে সম্পর্ক। নির্বিকার মূর্খরা অযাচিত স্বপ্নের চাষ করে যায় দিবারাত্রি। তবুও মাঝে মাঝে মননের টুংটাং শব্দে ঘুম ভাঙ্গে আস্থার।  এ শহর আত্মভোলাদের জন্যে নয় তাই নসীব দ্বারা পিষ্ট হয়ে পড়ে থাকে যত্রতত্র বেওয়ারিশ। সামিয়ানা টাঁনিয়ে মূর্খরা ধান্দার জিকির তুলে আর ভারী করে ইহজাগতিক আপনা কোষাগার। তবুও মাঝে মাঝে সময়ের সাথে তাল মেলানো পথিক বিপ্লবী শপথে দাড়িয়ে যায় নিজ তাগিদে। ১৭/০৮/২০১৮

ঝুম বৃষ্টি হলে

ঝুম বৃষ্টি হলে গুম হতে চাই চঞ্চলা প্রতিটি ফোঁটায়। ঝুম বৃষ্টি হলে লুটোপুটি খেতে চাই দুষ্টোমী মেশানো শৈশবের মায়ায়। ঝুম বৃষ্টি হলে লিখে দিতে চাই এক পুকুর জল থৈ থৈ উদাসীনতা। ঝুম বৃষ্টি হলে গলা মিলিয়ে গাই ভেজা পাখির গান সরিয়ে অস্থিরতা। ২২/০৭/২০১৮